প্রতিদিন গণমাধ্যমে অসংখ্য চিঠি আসে। আসে সরকারি চিঠিও। কখনো কখনো গণমাধ্যমের রিপোর্টকে ধরে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিকে সহায়তা করতে তথ্য-উপাত্ত চেয়েও চিঠি দেয় বিভিন্ন দপ্তর। কিন্তু সেসব চিঠির ভাষায় শিষ্টাচার ও সৌজন্য কতোটা অনুসরণ করা হয়? এমন প্রশ্নও উঠে।
মূলত নানা কারণে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা, অধিদপ্তর ও বিভাগ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যক্তিকে চিঠি দেন। ওইসব চিঠির বেশির ভাগই থাকে আদেশ বা নির্দেশনামূলক।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তেমনই একটি চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজের কাছে চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত দু’টি রিপোর্টের তথ্য চেয়ে চিঠি আসে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে।
ওই চিঠিতে ‘জবাব প্রদান’, ‘দালিলিক প্রমাণ’ ‘১০ কর্মদিবসের মধ্যে’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়।
বিষয়টি ওই দপ্তরের নজরে আনার পর ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চিঠিতে যথেষ্ট সৌজন্য বজায় রেখে কিছু তথ্য দিয়ে তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করার অনুরোধ জানানো হয়।
সরকারি চিঠিতে সৌজন্য ও শিষ্টাচার বজায় থাকে এ বিষয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন সচিবকে চিঠি দেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ।
জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন: ‘চিঠির ভাষা আরো সাবলীল, পরিচ্ছন্ন এবং সৌজন্য বজায় রেখে হওয়া উচিত। জনগণের কাছে চিঠির যে ভাষা হবে সে ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। তবে অনেকেই তা মানেন না।’
জনসচেতনতামূলক দায়িত্ব পালনের জন্য চ্যানেল আইকে ধন্যবাদও জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই চিঠির দাপ্তরিক ভাষা মেনে চলতে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হবে।’