পাবনার সুজানগর উপজেলার চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামে স্কুল ছাত্রী অপহরণকারীদের পক্ষ নেয়ার অভিযোগে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা দানেজ সেখ (৩০) আজ শুক্রবার মারা গেছেন।
দুপুর ১২টার দিকে পাবনা মেডিকেল কলেজ থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে ও সাগরকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ছিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে একদল দুর্বৃত্ত বাঘুলপুর গ্রামের জনৈক লিয়াকত সরদারের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে তার মেয়েকে জোর করে মাইক্রোবাসে তোলে।
মেয়ের বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে গ্রামবাসী এসে পথ রোধ করে মাইক্রোবাসসহ ৪ অপহরণকারীকে চরপাড়া মালঞ্চি গ্রামের একটি স্কুলে আটকে রাখে। এ সময় গ্রামবাসী তাদের মারতে উদ্যত হলে যুবলীগ নেতা দানেজ সেখ অপহরণকারীদের পক্ষ নিয়ে তাদের বাধা দেয় ও পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চার অপহরণকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয়দের সাথে দানেজ সেখের বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে ওই গ্রামের আব্দুল গফুর এর নেতৃত্বে একদল লোক দানেজকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরতর আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আমিনপুর থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুর রহমান জানান, লাশটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের মা নাসিমা খাতুন বাদি হয়ে আমিনপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।