নারায়ণগঞ্জে একটি প্রিন্টিং কারখানার কিশোরী শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের দীর্ঘ ৯ বছর পর চার যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন একজন আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সদর উপজেলার শহীদনগর এলাকার শান্তি মিয়ার ছেলে শহিদুল ইসলাম, একই এলাকার নাছির মিয়ার ছেলে শাকিল হোসেন, গিয়াস উদ্দিনের ছেলে চঞ্চল ও ফতুল্লার মুসলিমনগর এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে আরিফ। আসামীদের মধ্যে শুধুমাত্র চঞ্চল আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অন্যরা পলাতক রয়েছেন। এ মামলায় দোষী প্রমাণিত না হওয়ায় পলাশ নামের এক আসামীকে খালাস দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর রকিবউদ্দিন জানান, ২০১০ সালের ১৫ মার্চ রাত দশটায় সদরের তামাকপট্টি এলাকার একটি প্রিন্টিং কারখানার কিশোরী শ্রমিক কাজ শেষে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল।
যাত্রাপথে শহীদনগর এলাকায় ওই যুবকরা কিশোরীকে সেখান থেকে জোর করে স্থানীয় একটি বাড়ির রান্নাঘরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা কিশোরীর মা বাদি হয়ে সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।