২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিবাদের দীপ্র মশাল হাতে নিয়ে তৃতীয় বর্ষপূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, গণজাগরণ মঞ্চের তৃতীয় বর্ষপূর্তির উপলক্ষে মিলনমেলা সহ দুই দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, জাগরণ র্যালি, স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও শাহবাগের গান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ইতিহাসের কলঙ্কমোচনের আকাঙ্ক্ষার শাহবাগ মুক্তির চেতনার যে ফল্গুধারা বইয়ে দিয়েছে, তাতে অবশ্যম্ভাবীভাবে ধুয়ে যাবে পৃথিবীর ইতিহাসের নিকৃষ্টতম কিছু জীব, যারা ঘৃণ্যতম গণহত্যার খলনায়ক হিসেবে আমাদের জাতীয় লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলো।
কাদের মোল্লা থেকে শুরু করে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের ঔদ্ধত্যের জবাব দিয়েছে শাহবাগ, মুক্তিকামী বাঙালির হাতে তুলে দিয়েছে বিজয়ের স্মারক। গণমানুষের ঐক্যের শক্তি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে দৃপ্ত শপথে এগিয়ে চলছে গণজাগরণ মঞ্চ।
এই আন্দোলনের চালিকাশক্তি হচ্ছে এদেশের সর্বস্তরের সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষ, যারা জন্মভূমির প্রয়োজনে প্রাণ দিয়েছে বারবার। পৃথিবীর সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক, মানবিক এই আন্দোলন সারা পৃথিবীর কাছে দাবি আদায়ের আন্দোলনের এক অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এই আন্দোলনে যে তাজা প্রাণগুলো ঝরে গেছে, তাদের প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে আমরা আবারও মিলবো গণজাগরণের মিলনমেলায়। যারা এদেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়ে গেছেন, তাদের রক্ত বৃথা যেতে না দেয়ার প্রত্যয়ে আমরা আরো একবার শপথের বজ্রমুষ্ঠি তুলে ধরবো, যে বজ্রমুষ্ঠি একাত্তরের পরাজিত হায়েনাদের অন্তরে পুনর্বার কাঁপন ধরাবে।