কোনো সন্দেহ নেই যে, ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচই সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ম্যাচ। এযাবৎ যত বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছে, এটাই একনম্বর। এক ম্যাচ দু’বার টাই। তার পর বাউন্ডারি বেশি মারার জন্য জিতল ইংল্যান্ড। ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যার যুক্তি ছাপিয়ে ক্রিকেট রোমান্টিকতারও শেষ কথা এই ম্যাচ।
বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড। কিন্তু মন জিতল নিউজিল্যান্ড। তবে ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন রুদ্ধশ্বাস, রোমাঞ্চকর ম্যাচ দেখা অনেক সময়ই কঠিন ও ঝুঁকির। যে ঝুঁকিতে পড়েছিলেন কিউই প্রধানমন্ত্রী!
জাসিন্ডা আরডার্ন জানিয়েছেন তিনি না কি ‘ট্রমায়’ চলে গিয়েছিলেন। অবশ্য তার এই ট্রমা বাস্তবের ছিল না। এটা তিনি মজা করে বলেছেন।
এই বিশ্বকাপেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের রুদ্ধশ্বাস জয় দেখার পর ওয়াসিম আকরামের স্ত্রী শানিয়েরা আকরামে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, ম্যাচের আগে যদি দর্শকদের জন্য এই পরামর্শ দেয়া হয় যে, এমন ম্যাচ দেখলে আপনার শরীর খারাপ হতে পারে। কারণ পাকিস্তানের ম্যাচগুলো হার্ট স্টপার।’
মজা করে হলেও প্রায় একই রকম কথাই বলেছেন নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বকাপ শেষে রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডবাসীর অনেকের মতো আমিও মানসিকভাবে কষ্ট পেয়েছি। তবে চূড়ান্ত ফলাফলে আমরা পিছিয়ে পড়লেও, কালো ক্যাপধারীদের খেলায় গর্বিত। আমাদের খেলোয়াড়রা অসাধারণ খেলেছে।’
এর আগে এক টুইট বার্তায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী লিখেন, ‘ইংল্যান্ডের জন্য শুভ কামনা রইল। কালো ক্যাপ পরা খেলোয়াড়দের জন্যও রইল শুভ কামনা।’
শুধু ম্যাচ নয়, সুপার ওভার স্কোরের বিচারেও ম্যাচ টাই। প্রথমে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করে তুলেছিল ২৪১-৮। ইংল্যান্ড তাদের ইনিংসের শেষ বলে ২৪১ তুলে অলআউট। সুপার ওভারে ইংল্যান্ড তোলে ১৫। নিউজিল্যান্ডও সুপার ওভারে ১৫ তোলে। কিন্তু সুপার ওভারে বেশি বাউন্ডারি (ইংল্যান্ড ২৬ টি, নিউজিল্যান্ড ১৭টি) মারার জন্য জয়ী ইংল্যান্ড।