ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজ নিজ ম্যাচে জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ও লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। ফতুল্লায় উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাবকে ৩৯ রানে হারিয়েছে খেলাঘর। আর সাভারে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে খেলাঘর। ওপেনিং জুটিতে ৯৮ রান তোলেন রবিউল ইসলাম রবি ও শাহারিয়ার কমল। ৩৮ রান করে রবি ফিরলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন কমল। সাত চারে ৭২ বলে করেন ৫৬ রান।
শুরুতে সচল হওয়া চাকা এরপর বেশ ভালোভাবেই ঘুরিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও অমিত মজুমদার। ৮০ বলে সাত চার ও এক ছক্কায় দলীয় ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অঙ্কন। অমিত করেন ৪১ রান। শেষদিকে মঈনুল ইসলামের ২৩ রানের ভর করে ২৫৭ রানের স্কোর পায় খেলাঘর।
উত্তরার হয়ে শেখ হুমায়ুন ও মোহাইমিনুল খান দুটি করে উইকেট নেন।
খেলাঘর ইনিংসের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে উত্তরা। দলের হয়ে একাই লড়েছেন মোহাইমিনুল। সাত রানের জন্য তিন অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। ১২৭ বলে ৯৩ রান করেন তিনি।
অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মিনহাজুল আবেদিন ৩৭ ছাড়া কেউই কুড়ির ঘরে যেতে পারেননি। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২১৮ রানে থামে উত্তরার ইনিংস।
খেলাঘরের হয়ে রবিউল হক, রবিউল ইসলাম রাব্বি ও তানভীর ইসলাম প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
আরেক ম্যাচে, শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নাবিল সামাদ ও মুক্তার আলির বোলিং তোপের সামনে দাঁড়াতে পারেননি শেখ জামাল ব্যাটসম্যানরা। তাদের সাতজন ব্যাটসম্যান দুইয়ের ঘরে যেতে পারেননি। যে চারজন দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন তানভীর হায়দার। এছাড়া ফারদিন খান ২৮ ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৫ রান করেন।
নাবিল সামাদ ও মুক্তার আলি প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নেন।
অল্প রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতে একটা উইকেট হারালেও মোহাম্মদ নাঈম ও মুমিনুল হকের জোড়া অর্ধশতকে ২১.২ বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় রূপগঞ্জ। নাঈম ৬৩ রান করে আউট হলেও ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল।