সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনী।
মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের দেশ গড়তে দেশের জন্য যেকোনো দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিন বাহিনীর প্রধানগণ। দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের হাজারো ইতিহাসের সঙ্গেই উজ্জ্বল সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বীরত্বগাঁথা। জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ আর জীবন উৎসর্গ করে দেশের স্বাধীনতা আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন সেনা, বিমান ও নৌ বাহিনীর সদস্যরাও। তাদের অবদানকে স্মরণ করতে এ সংবর্ধনা।
আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে সেনা বাহিনীর ৪৮জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমদ। শান্তিকালীন অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিতে ৯ সেনা সদস্যকে অসামান্য সেবা পদক এবং ১৯ জনকে বিশিষ্ট সেবা পদকে ভূষিত করা হয়।
নৌ সদরের সাগরিকা হলে বীরশ্রেষ্ঠ,বীর উত্তম বীর বিক্রমসহ নৌবাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ২১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনার আয়োজন করে নৌ বাহিনী।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের কথা উল্লেখ করে বীর সেনানীদের পরিবার ও স্বজনদের খোঁজখবর নেন নৌ প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ।
স্থল আর নৌ পথের পাশাপাশি আকাশপথে যুদ্ধ করে বিমান বাহিনীর যেসব যোদ্ধারা বীর হয়ে আছেন সেই ২৮ জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা স্মরণ করেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান।
কিলোফ্লাটের অসামরিক বৈমানিকদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। মাত্র একটি বিমান নিয়ে শুরু হওয়া বিমান বাহিনীর অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তা অব্যহত রাখার আহবান জানান তিনি।
সংবর্ধনার পাশাপাশি খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিন বাহিনীর প্রধান গণ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে