দানিয়েল সুজিত বোস: অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণ করায় খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বর্জ্য ও পানি নিষ্কাশনে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। সিটি কর্পোরেশন বিপুল অর্থ ব্যয় করে নানা প্রকল্প হাতে নিলেও তেমন কাজে আসছে না প্রকল্পগুলো। এ জন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
খুলনা নগরীর মতিয়াখালী খাল, ক্ষেত্রখালী খাল, লবণচরা খাল, রায়েরমহল বাজার খাল ও রায়েরমহল মোল্লাপাড়া খালসহ নগরীর ১২টি খাল সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু মাত্র ৮ থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত কংক্রিটের ড্রেন নির্মাণ করায় সমস্যা আরও বেড়েছে। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই কোমর সমান পানিতে ডুবছে নগরী। এতে নানা রকমের দূষণ ছড়াচ্ছে।
সমস্যা সমাধানে মহানগরীতে ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক তৈরির কথা বলছেন মেয়র। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে কাজও চলছে। নেদারল্যান্ডের একটি বিশেষজ্ঞ টিমের সহায়তায় পরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। তবে ঠিকমতো বরাদ্দ পাওয়া গেলে দুই বছরের মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র মনিরুজ্জামান মনি বলেন: প্রতিটি প্রকল্পেই মেগা প্রজেক্ট নিয়ে কাজ হয়। তাই আলাদা করে কোন বিশেষ ক্ষেত্রে নজর দেয়া সম্ভব হয় না। হয়তো আরও কয়েক বছর লাগবে সুন্দর করে একটি ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে। যেদিকে নগরী ঢালু সেদিকেই ড্রেনেজ করতে হয়, কিন্তু তা না করে আমরা দেখেছি যে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ করা হয়েছে। এজন্য সেগুলো আর কাজে আসছে না।
জেলা প্রশাসক আমিনুল আহসান বলেন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে নানা ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। জলবদ্ধতা নিরসনের জন্য নেদারল্যান্ডের একটি বিশেষজ্ঞ টিমের সহায়তায় পরিকল্পনা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে এই অসুবিধা দূর করা সম্ভব হবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: