খুলনা করোনা হাসপাতালে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। আইসিইউতে রয়েছেন ১৮ জন।
রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ও খুমেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং একজন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এছাড়া হাসপাতালে সকাল ৮ টা পর্যন্ত ১৫৯ জন রোগী ভর্তি ছিল।
যার মধ্যে রেডজোনে ৯৮ জন, ইয়ালোজোনে ২৫ জন, এইচডিইউতে ২০ জন এবং আইসিইউতে ১৮ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৬ জন।
শনিবার রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ৬১৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৫০৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৪২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাগেরহাটে ১১ জন, যশোরে ছয়জন, সাতক্ষীরায় তিনজন, নড়াইলে একজন, গোপালগঞ্জ একজন এবং মেহেরপুরের একজন রয়েছে।
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে আগামী ২২ জুন (মঙ্গলবার) থেকে সাত দিনের জন্য খুলনা জেলা ও মহানগরীতে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হবে। এসময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচামাল ও ঔষধ বহনকারী যানবাহন ব্যতীত কোন গণপরিবহণ খুলনায় প্রবেশ করতে বা বের হতে পারবে না।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা ও মহানগর কমিটির সভায় সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন এসকল সিদ্ধান্ত জানান।
কঠোর লকডাউন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য অতিশীঘ্রই গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকলকে অবহিত করা হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায়, স্বাস্থ্যবিধি পালনে মনিটরিং জোরদার করা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হতে প্রচার-প্রচারণা চলমান থাকবে।