একাত্তর টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান রকিব উদ্দিন পান্নু ও ক্যামেরাম্যান আরিফুর রহমান সোহেলের উপরে পুলিশ এবং ওয়াসা’র বিদেশী ঠিকাদারদের হামলা ও মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করেন সাংবাদিকরা। পরে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের আশ্বাসে সাংবাদিকরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন। পুলিশ জানিয়েছে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
রোববার দুপুরে সাংবাদিক রকিবউদ্দিন পান্নু বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। খুলনা ওয়াসার পাইপলাইন নির্মাণকাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র ধারণকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, জোড়াগেট এলাকায় ওয়াসার পাইপ লিকেজ হয়ে পানি বের হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে মোবাইলে ওই চিত্র ধারণ করছিলাম। এ সময় খুলনা ওয়াসার পানি সরবরাহ প্রকল্পে কর্মরত চায়না প্রকৌশলীরা আকস্মিক পান্নুকে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এক পর্যায়ে ক্যামেরাপারসন আরিফুর রহমান সোহেলের ওপরও হামলা চালায় ঠিকাদারের লোক ও পুলিশ। হামলাকারীরা ক্যামেরাপারসনের ক্যামেরা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আবুল বাশার এসে ওয়াসার পক্ষ নিয়ে পান্নুকে উল্টো হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিজে মারধর করেন এবং ওয়াসার লোকদের মারধরে সহযোগিতা করেন।
এর আগে একাত্তর টিভির সাংবাদিককে মারপিটের প্রতিবাদে খুলনা-যশোর সড়ক অবরোধ একাত্তর টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান রকিব উদ্দিন পান্নুর উপরে পুলিশ এবং ওয়াসা কর্তৃপক্ষের হামলা ও মারপিটের প্রতিবাদে খুলনা-যশোর সড়ক অবরোধ করে সাংবাদিকরা।
তারা দ্রুত এ ঘটনায় দায়ী ওয়াসার দেশি-বিদেশি ঠিকাদার, কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মকর্তার শাস্তি দাবি করেন।
পরে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও কেএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রতিশ্রুতি দিলে সাংবাদিকরা কর্মসুচি প্রত্যাহার করে নেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম বলেন, সাংবাদিক পান্নুর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দোষীদের ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।