চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

খুলনায় কচু চাষে সাফল্য

পানি কচু চাষ করে ভাগ্য খুলেছে খুলনার চাষী নিউটনের। স্ত্রীর পরামর্শে মাত্র ২০ শতক জমিতে পানি কচু  চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছেন তিনি।

একটি বেসরকারি জুট মিলের কাজ ছেড়ে দিয়ে ৩৪ শতক জমি বর্গা নিয়ে কৃষিকাজ শুরু করেন নিউটন। ধান আবাদ দিয়ে শুরু করলেও পরে স্ত্রীর পরামর্শে জমির এক অংশে রোপন করেন পানি কচুর চারা। খুলনার ডুমুরিয়ার ঘোনা মাদার ডাঙ্গা এলাকায় এ বছর ২০ শতক জমিতে চাষ করেছেন কচু।

কৃষক নিউটন বলেন, প্রথম বছর ধানের পাশাপাশি মাত্র দুই কাঠা জমিতে শুরু করেন কচুর চাষ। পাঁচ বছরের মাথায় এসে পুরো জমিতেই এখন কচু। এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার টাকার কচুর-লতি বিক্রি হলেও সামনে ৮০-৮৫ হাজার টাকার কচু বিক্রির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।

মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে চারা রোপনের পাঁচমাস পরই কচুগুলো পরিপুষ্ট হয়। একেকটি কচুর দৈর্ঘ্য ১০ ফুট বা তারও বেশী। ওজন হয় ২৫ থেকে ৩০ কেজি।

জমির এক তৃতীয়াংশ থেকে এরইমধ্যে ৪০-৫০ হাজার টাকার কচু, লতি ও ফুল বিক্রি করা হয়েছে। বাকী অংশের কচু ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকায় বিক্রি হবে, আশা এই চাষী পরিবার।

নিউটনের স্ত্রী প্রীতিলতা মন্ডল বলেন, সকলেই এখানে আসে কচু নিতে। বাইরে গিয়েও আমাদের কচুর ব্যাপারে গল্প করেন। এটা আমার কাছে ভালো লাগে। নিউটনের দেশী জাতের কচু চাষ দেখে আবাদে আগ্রহী হয়েছেন এলাকার অনেক কৃষক।

রবি ফসল তোলার পর সবজি আবাদের মধ্যবর্তী সময়ে দক্ষিণাঞ্চলে সবজির ব্যাপক ঘাটতি দেখা যায়। এসময় কচু চাষ সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মনে করেন নিউটনের দেখাদেখি এলাকার অন্যান্য কৃষকদেরও এই প্রযুক্তি রপ্ত করা দরকার। পাশাপশি নিউটনের উদ্যোগকেও স্বাগত জানান তিনি। খুলনায় এবার তিনশ’ ৫৬ হেক্টর জমিতে কচুর আবাদ হয়েছে।