সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগির মরদেহের অংশবিশেষ তুরস্কে নিয়োজিত সৌদি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ আল-ওতাইবি’র বাসভবনের বাগানে পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে স্কাই নিউজ।
স্কাই নিউজের কাছে সূত্র জানিয়েছে, খাশোগির মরদেহ কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে এবং তার চেহারা বিকৃত করা হয়েছে।
আরেকটি সূত্র দাবি করেছে, খাশোগির মরদেহের অবশিষ্ট অংশও মোহাম্মদ আল-ওতাইবির বাসভবনের বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
খাশোগিকে হত্যার আগে ও পরে সৌদি যুবরাজকে ফোন করে বিষয়টি তকে জানানো হয়েছিলো বলেও এর আগে অভিযোগ এসেছে।
এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, খাশোগির মরদেহ পাওয়া যায়নি। তিনি খাশোগির মরদেহের সন্ধান দেয়ার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, অফিসিয়ালি বলা হচ্ছে একজন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, কিন্তু তার মরদেহ এখনো কেন পাওয়া যাচ্ছে না?
খাশোগিকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়ে এরদেয়ান বিস্তারিত কিছু বলেননি।তবে তিনি বলেন, খাশোগিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এটি যে পূর্বপরিকল্পিত বর্বর হত্যাকাণ্ড সে বিষয়ে তুরস্কের তদন্তকারী দলের কাছে প্রমাণ আছে। তিনি বলেন, ১৫ সদস্যের হত্যাকারী দল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
এরদোয়ানের এই দাবির পরই আল-ওতাইবি বাসভবনের বাগান থেকে খাশোগির মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।
এর আগে তুরস্কের সরকার সমর্থিত দৈনিক ইয়েনি শাফাক এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি রাজতন্ত্রবিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার আগে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান তাকে টেলিফোন করে রিয়াদে ফিরে যেতে রাজি করানোর চেষ্টা করেন।
তবে গ্রেপ্তার ও হত্যার ভয়ে খাশোগি যুবরাজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই তাকে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার পরও যুবরাজের অফিসে ফোন করা হয় বলে আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়।
গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কূটনৈতিক মিশনে প্রবেশ করার পর থেকে জামাল খাশোগির আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাগদত্তাকে বিয়ের জন্য কাগজপত্র নিতে সেখানে যান তিনি। এরপরেই নিখোঁজ হন জামাল খাশোগি।