জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত এক সপ্তাহ ধরে গুরুতর অসুস্থ জানিয়ে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি জ্বর এবং কাশিতে ভুগছেন।
অনতিবিলম্বে তার সুচিকিৎসার দাবি জানিয়েছে দলটি।
সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘দশদিন পর আজ খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা কারাগারে তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পান। সন্ধ্যার পর দেখা করে তারা জানিয়েছেন, আগের চেয়ে তিনি অনেক বেশি অসুস্থ। তার হাত ভারি হয়ে যাচ্ছে এবং অবশ হয়ে যাচ্ছে।
মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি তার শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপের দিকে। আগের চেয়ে বেশ খারাপ।
খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই ধরনের জাতীয় নেতার চিকিৎসায় সরকারের অবহেলা মেনে নেয়ে যায় না।
তিনি বলেন, সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী? কেন তারা তার সুচিকিৎসার জন্য কোথাও যেতে দিচ্ছেন না। সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দায়িত্ব সরকারের। তার কিছু হলে সরকারকে দায় নিতে হবে।
এসময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান চিকিৎসক নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে দেখা করে আমাকে ম্যাডামের স্বাস্থ্যের কথা জানিয়েছেন। ম্যাডাম গত ৭ দিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিন রাতে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। ডান চোখ অনেক লাল হয়ে ফুলে গেছে। ঘাড়ের ব্যথা বাম হাতের তালু পর্যন্ত নেমে এসেছে। হাত দিয়ে শক্ত কিছু ধরলে ঝিনঝিন করে। কোমরের পেইন পায়ে নেমে এসেছে। কারো সহযোগিতা ছাড়া উনি ব্যক্তিগত কাজকর্ম করতে পারছেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার দুজন ব্যক্তিগত চিকিৎসক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ এবং আব্দুল কুদ্দুস বক্তব্য দেন। তারা চেয়ারপার্সনের স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবীর খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।