কয়েকদিন আগে দলের একাধিক সূত্র থেকে বলা হয়েছিলো, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে দেশ ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। দেশে ফিরেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে যাবেন তিনি। এর আগে কোরবানির ঈদের পর দেশে ফেরার কথা ছিলো বিএনপি চেয়ারপার্সনের। কিন্তু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এসে তিনি ঠিক কখন ফিরবেন সে বিষয়ে দলের নেতাদের কেউ কিছুই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
যদিও শুক্রবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমদ আযম খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এই মাসের শেষের দিকে বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন। ১৫ তারিখের মধ্যে উনার চিকিৎসা এবং অবজারভেশনগুলো শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এরপরে যেকোন সময় তিনি দেশে ফিরতে পারেন। আবার যদি ডাক্তার বলেন যে, আরো কিছু অবজারভেশন লাগবে তাহলে হয়তো সময় লাগবে। তবে আমি মনে করি, ২০ অক্টোবরের মধ্যে তিনি চলেই আসবেন। এটি আমার ধারণা। আর আপনি নিশ্চয় জানেন যে, বয়সের কারণে ওনার দীর্ঘদিনের কিছু সমস্যা আছে। এসব সমস্যার কারণে তিনি চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
বিএনপির এই নেতা বলছেন, সামনে ১২ তারিখে আরো একটা ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে। সেই অ্যাপয়েন্টমেন্টের পরে চলে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে।
তবে বিএনপির মুখপাত্র ও দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বেগম খালেদা জিয়া ঠিক কখন দেশে ফিরবেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন।
শুক্রবার সকালে তিনি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এখনো নিশ্চিত নয়। এখনো কোন তারিখ ঠিক হয়নি। তবে ম্যাডাম শিগগিরই ফিরবেন। চিকিৎসা শেষ হলেই ফিরে আসবেন।
বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবিষয়ে কোন কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেন।
চ্যানেল আই অনলাইনকে মওদুদ বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্য নেই। কখন দেশে ফিরবেন সে বিষয়ে কোন তারিখ ঠিক হয়নি। তবে তিনি দেশে ফিরে আসবেন দ্রুতই।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া উভয়ই সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসুক সেটা চাই আমি। প্রধানমন্ত্রী যদিও বলেছিলেন, তিনি দেশেই চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কথা রাখতে পারেননি। আর খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আছেন। আমি আশা করি, তারা শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন এবং দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন ধরে চোখ ও হাঁটুর সমস্যায় ভোগা খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য ৪২ দিন থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লন্ডনে। কিন্তু ইতোমধ্যে প্রায় তিন মাস হতে চলেছে তিনি দেশে নেই। আর এ নিয়ে সরকারি দলের মধ্যে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপি খালেদা জিয়া লন্ডনে বসে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন বলেও নানা সময় মন্তব্য করেন।