বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় স্বাস্থ্যের অস্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকায় সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক একটি প্রতিনিধি দল।
সোমবার বিকেলে আইনমন্ত্রীর গুলশানস্থ কার্যালয়ে সাক্ষাত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষে তারা এই উদ্বেগের কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অ্যামন গিলমোর।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গিলমোর। তিনি বলেন: আমরা খালেদা জিয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। তার বয়স এবং অসুস্থতা বিবেচনা করে বর্তমান অবস্থায় ইইউ উদ্বিগ্ন।
খালেদা জিয়া ইস্যুতে ইইউ কেন? এটা কি হস্তক্ষেপ নয়? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইইউ’র এ বিশেষ প্রতিনিধি বলেন: বিষয়টি হস্তক্ষেপের নয়, আমাদের কাছে উদ্বেগের; আমরা সেটিই জানাতে এসেছিলাম। তবে আইন এবং বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। ইইউ খালেদা জিয়া বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে।
বৈঠকে খালেদা ইস্যু ছাড়াও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতেও আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয় বলে জানান গিলমোর।
প্রতিনিধিদল বের হয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ইইউ’র মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে খালেদা জিয়া ইস্যুতে কী কথা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন: তারা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন। তারা তাদের কথা আমাকে জানিয়েছে। আমি আমাদের অবস্থান তাদের কাছে পরিষ্কার করেছি।
‘খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তার মুক্তির বিষয়ে সরকারের কিছু করার নেই, পুরোটাই আদালতের ওপর নির্ভর করছে। আমার সঙ্গে কথা বলার পর তারা আশ্বস্ত হয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছেন আদালাতের বিচারে ওপর তারাও আস্থাশীল’, বলেন আইনমন্ত্রী।
প্রতিনিধি দলটি আগামিকাল মিয়ানমার যাবে। সেখানে তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেদেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবস্থান তুলে ধরবে।