‘একাদশ জাতীয় সংসদে ধানের শীষ নিয়ে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা সংসদে গেলে কারাবন্দি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন’ এমন আশা করেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তবে এই আশা ঠিক ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেছেন: এখন মনে হচ্ছে আশা ঠিক ছিল না। কারণ, শেখ হাসিনা বলেছেন, তারেক রহমান বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আজীবন কারাগারে থাকতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন: তার মানে আইনের কারণে নয়, আদালতের কারণে নয়। শেখ হাসিনার ইচ্ছায় খালেদা জিয়াকে বন্দি থাকতে হবে।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির হল রুমে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর প্রশ্ন করে বলেন: শেখ হাসিনা কি এমন কথা বলার অধিকার রাখেন? এটি কি আদালত অবমাননা নয়? মাননীয় আদালত কি তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করতে পারবেন, কিভাবে তিনি এমন বক্তব্য রাখেন?
বিএনপির এই নেতা বলেন: প্রথমে আশা করেছিলাম, আমাদের সাংসদরা সংসদে যাওয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। কিন্তু শেখ হাসিনার বক্তব্যের পর তা আর মনে হচ্ছে না। তবুও আমরা আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করব।
গয়েশ্বর বলেন: সিদ্ধান্ত হয়েছে সংসদে যাওয়ার। সময় বলে দিবে সিদ্ধান্ত সঠিক নাকি ভুল ছিল তা। আগে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হয়। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাব। এখন দেখার বিষয় যে তারা সংসদে কতোটা ভূমিকা রাখতে পারেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন: আমাদেরকে ব্লেইম গেম থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমি কি পারলাম না পারলাম তা চিন্তা করি। আমরা আরেকজনকে কেন দোষারোপ করব? আমরা সবাই তো একই দোষে দুষ্ট। একজন আরেকজনকে দোষারোপ করলে প্রতিপক্ষ সুযোগ পায়। দলে দুর্বলতা তৈরি হয়। আমাদের সংগ্রাম ঐক্যের জন্য। আর ঐক্য হলো লক্ষ্য অর্জনের জন্য। আমাদেরকে ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
নাগরিক অধিকার ফোরাম আয়োজিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হাসান আলাল, বিএনপি নেতা আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ।