বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় হচ্ছে ২৯ অক্টোবর। এটি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও ৩২টি মামলা আছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যা, নাশকতা, দুর্নীতি ও মানহানির মামলা।
মামলাগুলোকে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বলছেন বিএনপির আইনজীবীরা। তবে রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সব মামলাতেই বেগম জিয়ার সংশ্লিষ্টতা আছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। ২৯ অক্টোবর রায়ের অপেক্ষায় দুর্নীতির আরেক মামলা- জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ছাড়াও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির আরও তিনটি মামলা চার্জ গঠনের শুনানি পর্যায়ে আছে। সেগুলো হচ্ছে নাইকো, গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলা।
পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকা ও কুমিল্লায় দু’টি মামলা আছে। গাড়িতে আগুন, ভাংচুর, পুলিশের কাজে বাধাসহ নাশকতার অভিযোগে কুমিল্লায় দু’টিসহ মোট মামলা হয়েছে ১৫টি। এর মধ্যে গুলশান থানার একটি মামলা ছাড়া বাকিগুলোর চার্জশিট হওয়ার পর আমলে নিয়েছেন আদালত।
বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মানহানির ৪টি মামলা চার্জ গঠনের শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক, রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়ে জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং ১৫ আগস্ট ভূয়া জন্মদিন পালন সংক্রান্ত।
মানহানির আরও ৮টি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. সানাউল্লাহ মিয়া।
নাশকতার সব মামলাতেই খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি বলে জানান মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মো. আবদুল্লাহ আবু।
কুমিল্লার দু’টি মামলা ছাড়া সবগুলো মামলাতেই জামিনে আছেন বেগম খালেদা জিয়া।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: