জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্র এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়েছেনর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলার জব্দ তালিকার তিন সাক্ষীকে জেরা করে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
মামলায় হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে এজলাসে পৌঁছান খালেদা জিয়া। রাজধানীর বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে মামলা দুটির শুনানি হয়।
গত দুইটি উপস্থিতির তারিখে খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এরআগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দুটিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়া তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলো আদালত। পরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন তিনি।
২০১৪ সালে ১৯ মার্চ এ দুই মামলায় খালেদা ও তারেক রহমানসহ নয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর থেকেই বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর নতুন বিচারক আবু আহমেদ জমাদারকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি করে দুদক। এই মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতেক চার্জশিট দাখিল করে দুদক। মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।