বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, দলের চেয়ারপার্সন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও এখনও পর্যন্ত তার সুচিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর দুদিন পার হয়ে গেলেও বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন দ্রুত চিকিৎসা না দেয়া হলে তার বাম পা ও হাত অবশ হয়ে যেতে পারে। তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতি যাচ্ছে। তার চিকিৎসা নিয়ে ছলচাতুরী চলছে এবং কালক্ষেপণ করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। আমি দলের পক্ষ থেকে বিলম্ব না করে বেগম খালেদা জিয়াকে বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতালে সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় থানায় গায়েবী মামলা দায়ের অব্যাহত রয়েছে। সরকারের নীলনকশার অংশ হিসেবে আগামী নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ও সক্রিয় নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধেও ঢালাওভাবে মামলা দেয়া হচ্ছে। দেশব্যাপী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষকদের তালিকা করা হচ্ছে, কারা বিএনপি করে বা বিএনপি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ বেছে বেছে আওয়ামী সমর্থিত লোকদেরকে নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার কার্যক্রম চলছে।
রিজভী বলেন, ‘অবৈধ সরকারের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে গেছে। জনগণের মধ্যে আওয়ামী নির্যাতনে যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, যেকোনো সময় তার বিস্ফোরণ ঘটবেই। কারণ অবৈধ সরকারের প্রধানের ‘বর্বর অহমিকার’ প্রতি ঘৃণা মিশ্রিত রোষে দেশের জনতা আজ উত্তাল। দাঁড়ানোর কোনো শক্ত জমিন তাদের নেই। তাই গাছের পাতা নড়লেও সরকার এখন চমকে উঠছে। তবে এই অবৈধ সরকারের পতনের খবর আলোর গতিবেগের ন্যায় ক্ষিপ্র গতিতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই ফ্যাসিস্ট রাত্রির অন্ধকার পোহাবেই।