চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো আবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে।

আইনী দিক খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি একথা জানান।

তাছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার সবধরণের চিকিৎসা চলছে। করোনা পরবর্তী নানা জটিলতা থাকে। তার আরো উন্নত চিকিৎসা দরকার। বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুৃমতি চাওয়া হয়েছে। আশাকরি মানবিক কারণে সরকার অনুমতি দেবে।

বুধবার রাত ৮টার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ধানমন্ডির বাসভবনে এসে সাক্ষাতের পর খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন তার ভাই শামীম এস্কান্দার।

আবেদনটি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে দ্রুত বিবেচনার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত ১১ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হন খালেদা জিয়া। ২৪ এপ্রিল রাতে পাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের ফলাফলেও তার করোনা পজিটিভ আসে। ৩ মে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নেওয়া হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া।

২০২০ সালের ২৫ মার্চ ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে ২৫ মাস কারাভোগের পর সরকার শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ ২৫ মার্চ শেষ হয়।

তার আগেই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আবার বাড়ানো হয় সাজা স্থগিতের মেয়াদ।

গত ৩ মার্চ খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ মওকুফসহ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার আবেদন করে পরিবার। খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এ আবেদন করেন।

কিন্তু বেশ কিছু শর্ত সাপেক্ষে বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার।

এ সময়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী তিনি যে কোনও হাসপাতাল বা যে কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন। তবে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলা হয়েছিলো।