চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সারাদেশের জেলা সদরে মিছিল, সমাবেশসহ চার সপ্তাহের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি বিএনপি।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধা দিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন বিলম্ব করছে। দেশনেত্রীর মুক্তির দাবি আরও বেগবান করার জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তা হলো আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে দেশের সকল বিভাগীয় সদরে কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। এই কর্মসূচিগুলোতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
কর্মসূচিগুলো কি ধরনের হবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সমাবেশ, মিছিলসহ অন্যান্য যে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি হতে পারে সেগুলো পালন করা হবে।
ছাত্রদলের চলমান আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাসচিব বলেন, আমরা তাদের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এখন যারা বিক্ষোভ করছে তারাসহ সকলের সাথে কথা বলে সর্বসম্মতভাবে দল থেকে সিদ্ধান্ত তাদের দেওয়া হয়েছে। এখন এই আন্দোলন যুক্তিসংগত নয়। তাদের এটাও বলা হয়েছে যে তারা অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে যেতে পারে। তাদের উচিৎ হবে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে এই আন্দোলন বন্ধ করা। প্রয়োজনে তারা আবার কথা বলবে। তাদের আন্দোলন থেকে ফিরে আসা উচিৎ।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতি করা ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুল আলম ছাত্রদলের নেতা ছিলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার ছাত্রদলের, সে বুয়েটের ভিপি ছিল। এটা মিথ্যা কথা। একেবারে অসত্য কথা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন। প্রকৃতপক্ষে ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুল আলম কুয়েটের ছাত্র ছিলেন। তার সব ডাটা আমরা সংগ্রহ করেছি। সে কুয়েটের এ কে ফজলুল হক হলে ২৬ নম্বর রুম থাকতো। রোল নাম্বার ৯২১৩৫। সে পাশ করে ২০০০ সালে। সে কোনো দিনই ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। সে বাম দলের একটি সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে জে (অব) মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান।