জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য হয়েছে আগামি ১১ মার্চ (রোববার)।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আদালতকে বলেন: ‘এই মামলার নথি আসার জন্য দেয়া সময় তো শেষ।’ এসময় আদালত বলেন, ‘আমরা তো গত ২২ তারিখ নথি তলব করে আদেশ দিয়েছিলাম। এ বিষয়ে অর্ডার রোববার।’
এর আগে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে এই মামলায় খালেদাকে বিচারিক আদালতের করা জরিমানা স্থগিত করেন।
সেই সঙ্গে ওইদিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠাতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ের ১১ দিন পর গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা সত্যায়িত অনুলিপি পান বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। আর তার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সাথে খালেদা তারেকসহ সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের পর আদালত থেকেই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। এখন তিনি সেখানেই আছেন।