জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ক আদেশকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক জোরদার করা হয়েছে।
রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদার জামিন সংক্রান্ত আদেশ দেবেন।
আজ সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্টের সব কয়টি প্রবেশপথসহ আদালত অঙ্গনের প্রতিটি মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
আপিল বিভাগের যে কোর্টে আজ আদেশ হবে সেখানে প্রবেশের আগে ৪ ধাপে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তা তল্লাশির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আইনজীবী, সাংবাদিক ও কোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারি ছাড়া কাউকেই আদালত অঙ্গনে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
এছাড়া সম্পূর্ণ আদালত অঙ্গনে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এর আগে গত বুধবার দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ খালেদার জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেন। সেই সঙ্গে রোববারের মধ্যে দুদক ও রাস্ট্রপক্ষেকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়।
এরপর গত বৃহস্পতিবার দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল করে। আজ সে লিভ টু আপিলের শুনানি নিয়ে আদেশ দেবেন আদালত।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
আর খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমানকে এই মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
সেই সঙ্গে খালেদা তারেকসহ দণ্ডিত সবাইকে মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা জরিমানা করা হয়।
এই রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। পরবর্তীতে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
গত ১২ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন।