জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা আপিলের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
এই মামলায় খালেদাকে দেয়া চার মাসের জামিনের মেয়াদ আজ শেষ হওয়ায় তার জামিনের মেয়াদ আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছে আদালত।
সেই সাথে আজকের দিনের শুনানি শেষ হওয়ার পর আদালত আগামী রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা এই আপিলের শুনানির জন্য সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে খালেদার করা আপিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে খালেদার আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান ও এ জে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। এসময় আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এই মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেন। সেই সঙ্গে তার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামীর প্রত্যেককে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়।
বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে পরে হাইকোর্টে আপিল এবং জামিন আবেদন করে খালেদা জিয়া। এছাড়া আপিল করে সালিমমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ। আর খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে আবেদন করে দুদক।
এরপর গত ১২ মার্চ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। পরে সে জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
সেই সাথে এই মামলার রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের এই বেঞ্চকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
তবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ করেন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার সে রিভিউ স্ট্যান্ড অভার (যেমন আছে তেমন) রেখে আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
এসময় আদালত খালেদার আইনজীবীদের এটা বলে দেন যে, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টে এই আপিল শুনানির যে আদেশ রয়েছে সে অনুযায়ী আপনারা আপিল শুনানি শুরু করুন। তবে এই সময়ের মধ্যে শুনানি শেষ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে আপিল বিভাগে এলে তা আপিল বিভাগ বিবেচনা করবে।
আপিল বিভাগের এই আদেশের পরই হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আপিলের শুনানি শুরু হল।