দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘বিএনপির প্রয়াত সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, কারাবন্দি আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আটক রাখার জন্য অনেক চেষ্টা হবে। কিন্তু পারবেন না আটকে রাখতে, তিনি বের হয়ে আসবেন। এবং আগামীতে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করবো। এবং জনগণ আবার বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘কঠিন সময় আমরা অতিক্রম করছি এই কঠিন সময় থেকে আমরা যদি বাঁচতে চাই জীবনধারণের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাই দুর্নীতিমুক্ত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই, তাহলে জনগণের নির্বাচিত তাদের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
নেতাকর্মীদের সমাবেশের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ১৯ মার্চ আমাদের সমাবেশ সেই সমাবেশের জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে আমাদেরকে অনুমতি দিয়েছেন। যদিও তারা বরাবরই অনুমতি দেয় তারই ধারাবাহিকতায় এবারও দিয়েছে।
‘কিন্তু রাষ্ট্র কারা চালাচ্ছে বোঝা মুসকিল। তারা যে সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই হয়ে থাকে। তার পরও এটার জন্য আপনারা প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। এর মধ্যে যদি নেত্রী মুক্তি পান তাকে দেখার জন্য সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনসমাগম হবে। আর যদি বের হতে না পারেন তাকে সহানুভূতি জানানোর জন্য আরও বেশি লোক উপস্থিত হবে।’
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের স্মতিস্মারণ করে তিনি বলেন, ‘খোন্দকার দেলোয়ার ছিলেন একজন আদর্শবান শহীদ জিয়ার সুযোগ্য অনুসারী। তিনি কখনো বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা করেননি। তিনি ৫২’র ভাষাসৈনিক, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং জাতীয়তাবাদী দলের গঠনকাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
‘নির্লোভ এই রাজনীতিবিদ জীবনে বহু অত্যাচার সহ্য করেছেন। তার সন্তানকেও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তারপরও তিনি থেমে থাকেননি। বিএনপির আজকের দুঃসময়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মত মহান নেতা খুবই বেশী প্রয়োজন ছিল।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ,সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফর, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতউল্লাহ প্রমুখ।