খাবারের অপচয় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সর্তক হতে বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তিনি বলেন, ‘যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হচ্ছে তা ভীতিকর এবং পীড়াদায়ক। করোনা মহামারিতে অনেক দেশে ঠিকভাবে খাবার পাচ্ছে না তাই এবার চীনে শুরু হয়েছে ‘ক্লিন প্লেট ক্যাম্পেইন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,করোনা ভয়াবহতা কাটিয়ে না উঠতেই সম্প্রতি চীনের দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে ব্যাপক বন্যা হয়েছে। এতে বিপুল কৃষি খামার ভেসে গিয়ে নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার টন খাদ্যশস্য। দেশটি খাবার সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সতর্ক বার্তা শোনা গেলেও চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস সেগুলোকে ‘মিডিয়া হাইপ’ বলে খাটো করতে চেয়েছে।
তবে বিপুল পরিমাণ খাবার খাওয়ার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা কয়েকজনের কড়া সমালোচনা করেছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত্ব টেলিভিশন। পরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক ঘোষণায় বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার সংকট নিয়ে চীনের নাগরিকদের অনুভূতি পরায়ণ হতে হবে।
প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বার্তার পর উহানের ক্যাটারিং ইন্ড্রাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন শহরের রেস্টুরেন্টগুলোকে খাবার সরবরাহ সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছে। বলা হয়েছে, কোনও গ্রুপে যত মানুষ খাবারের আদেশ দেবে তার চেয়ে অন্তত এক পদের খাবার কম সরবরাহ করতে হবে।
তবে ‘এন-১’ নামের এই ব্যবস্থাটির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কষ্টকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ চীনা সংস্কৃতিতে মানুষের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ খাবারের আদেশ দেওয়া ভদ্রতা বিবেচনা করা হয়। কোনও গ্রুপের কারোর প্লেট শুন্য হয়ে গেলে খারাপ আমন্ত্রণকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেকারণে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবারের আদেশ দিতেই অভ্যস্ত চীনারা।
ইতোমধ্যেই অনলাইনে ‘এন-১’ সিস্টেমের সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই এই সিস্টেমকে ‘খুবই কঠোর’ বলে মনে করছেন।
মাইক্রোব্লগিং সাইট উইবোতে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘কোনও মানুষ একা রেস্টুরেন্টে গেলে কী হবে? কত খাবারের আদেশ দিতে পারবে? শুন্য?’ অন্যরা বলছেন সাধারণত বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টই বেশি খাবার নষ্ট করে না। এর পরিবর্তে অসংযত ভোজনে কর্মকর্তারাই বেশি অপচয় করেন।