‘কঙ্গনা একজন মানসিক রোগী ওর সঙ্গে যতদিন ছিলাম আমার জীবনটি বিভীষিকা হয়ে উঠেছিলো’ কথাগুলো এভাবেই অকপটে ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন ‘কুইন খ্যাত’ কঙ্গনার সাকেব প্রেমিক অধ্যয়ন।
মহেশ ভাটের ‘রাজ টু’ সিনেমা করতে গিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কঙ্গনা ও অধ্যয়নের। এরপর দু’টি বছর অধ্যয়নের জীবন অন্ধকারে তলিয়ে যায়। এমনকি তার ক্যারিয়ারও নষ্ট হয়ে যায়।
অধ্যয়নের ভাষ্য মতে, কঙ্গনা একজন মানসিক রোগী। তিনি জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় কাটিয়েছেন কঙ্গনার সঙ্গে। শেখ সুমনের ছেলে অধ্যয়ন, সেসময়ের কিছু মুহূর্তের কথা গণমাধ্যমে তুলে ধরে বলেন, কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সময় তার মুখ থেকে অনেক নিকৃষ্ট গালাগালি শুনতে হয়েছে। এমনকি ‘রাজ টু’ ছবিতে মহেশ ভাট আমাকে কেন প্রশংসা করছে সেজন্য প্রচুর গালাগালি শুনতে হত কঙ্গনার কাছ থেকে।
যাকে নিয়ে কঙ্গনা বির্তকে রয়েছেন সেই হৃতিক রোশনের পার্টির প্রসঙ্গে অধ্যয়নের দাবি, ওই পার্টিতে কোনো এক অভিনেতা কঙ্গনার শরীরের বিশেষ স্থানে হাত দিয়েছিলেন। এর পরেও কঙ্গনা পার্টি চালিয়ে যান। কিন্তু হঠাৎ করে পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। সিঁড়িতে বসে আমাকে ক্রমাগত চড় মারতে থাকেন। অশ্লীল শব্দ মিশিয়ে বলতে থাকেন।
এখানেই শেষ নয়। অধ্যয়নের দাবি, গাড়িতেও তাকে গালাগালি করার পাশাপাশি মারধর করেছিলেন কঙ্গনা।
এরপর অধ্যয়ন গণমাধ্যমকে যা জানালেন তা রীতিমতো অবাক হওয়ার মতো কথা, কঙ্গনা নাকি তার রান্নায় রক্ত মিশিয়ে দিতো। এ নায়ক দাবি করে বলেন, আমাদের পারিবারিক একজন পুরোহিত আছে। একদিন তিনি আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কঙ্গনা আমার জন্য রান্না করে কি না? আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বলেছিলেন, ওর অশুদ্ধ রক্ত ও তোমার খাবারে মেশাচ্ছে।
কিছুদিন আগে কঙ্গনা ও হৃতিকের সম্পর্ক নিয়ে গোট বলিউড যখন উত্তাপ, তখন জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এ অভিনেত্রীর সাবেক প্রেমিকের কাছ থেকে এমন কথা শোনার পর কঙ্গনাই বা কি বলবেন আর বলিউড ইন্ডাস্ট্রি বা কি বলবেন?