খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় ২২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র লোকবল স্বল্পতায় ভুগছে। সার্জন না থাকায় দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি নিতে পারছেন না প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ।
লোগাং ও চেঙ্গি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দাতা সংস্থার সহায়তায় দক্ষ ধাত্রী দিয়ে নিরাপদ প্রসব কার্যক্রমও ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাচ্ছে।
পাবর্ত্য জেলা খাগড়াছড়ির প্রত্যন্ত অঞ্চল পানছড়ির লোগাং এবং চেঙ্গি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র দু’টিতে প্রথম দিকে শুধু পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি নিয়েই পরামর্শ-সেবা দেয়া হতো। আর প্রথম দিকে মায়েরা স্বল্প মেয়াদের পরিকল্পনা গ্রহণে আগ্রহী থাকলেও দিন দিন তারা ‘ইমপ্ল্যান্ট’ এবং ‘লাইগেশনের’ মতো দীর্ঘস্থায়ী পদ্ধতিতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
সীমান্তবর্তী উপজেলা পানছড়ির লোগাং এবং চেঙ্গি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ২০১৭ সালে নিরাপদ প্রসব সেবা কার্যক্রম শুরু করে প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ। ‘সো প্রকল্পের’ আওতায় নিয়োগ দেয় ২ জন করে সিএসবি বা দক্ষ ধাত্রী।
ডিসেম্বরে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে এ সেবা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোগাং এবং চেঙ্গি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র মায়েদের নিরাপদ প্রসব সেবায় দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। খাগড়াছড়ির ২২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেও এধরনের সেবা চালুর জন্য কেন্দ্রগুলোতে ৫টি শূন্য পদে নিয়োগসহ নতুন পদ সৃষ্টির পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
বিস্তারিত দেখুন জান্নাতুল বাকেয়া কেকার ভিডিও রিপোর্টে: