যমুনা, ব্রহ্মপুত্র এবং তিস্তাসহ কয়েকটি নদ-নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে কিছু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন ৫০ হাজার হাজার মানুষ।
ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বাড়তে থাকায় কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলা সদর, উলিপুর, চিলমারী, রাজিবপুর, রৌমারী ও নাগেশ্বরী উপজেলার ২৩ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম ও চরাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী জীবন যাপন করছেন।
সেসঙ্গে দেখা দিয়েছে কাজের সংকট। বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারি বা বেসরকারি ত্রাণ কার্যক্রমও শুরু হয় নি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বালিঘুগড়িতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২০০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাঁধের আরো ৬০০ মিটার। গত কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢল আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।
যমুনার পানি অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় চরম আতঙ্কে রয়েছেন বালিঘুগড়ি, ইটালী, বাহুকাসহ কমপক্ষে ৭ গ্রামের মানুষ।
বগুড়ায় যমুনা পাড়ে নির্মাণাধীন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে বেশকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ফসলি জমি, মাছের ঘেরসহ ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন সেখানে । অনেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, পানির তোড় এতোই বেশি যে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না।
গাইবান্ধায় গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে । হুমকির মুখে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ।