ক্ষুধার রাজনীতি নিয়ে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ১৪ দল বলেছে: এদেশের রাজনীতিতে একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হলো মানুষের ক্ষুধা ও খাবার নিয়ে চক্রান্ত করা।
চিহ্নিত একটি মহল মানুষের ক্ষুধাকে কেন্দ্র করে অতীতে চক্রান্ত করেছে, এখনও করছে। এদেরকে চিহ্নিত করে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেন ভবিষ্যতে এমন কাজ করার সাহস না করে।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১৪ দলের নিয়মিত বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন: পেঁয়াজ নিয়ে কী পেঁয়াজকাণ্ড ঘটল আপনারা সবাই দেখেছেন। দেশে প্রচুর পেঁয়াজের মজুদ ছিল এবং আছে। বাজারে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নাই। পেঁয়াজের অহেতুক রকেট গতিতে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হলো, সেটা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।
তিনি আরও বলেন: আমরা পার্লামেন্টে পর্যন্ত এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু তথাকথিত বিরোধী দল বিএনপি এটা নিয়ে কোন কথা বলেনি। কিন্তু আমরা যখন পার্লামেন্টে এটা নিয়ে কথা বলছি, তখন তারা পার্লামেন্টে কথা না বলে বাইরে মিছিল করছে। বিএনপি-জামায়াত সব করতে পারে। আমাদের তাদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে।
নাসিম বলেন: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিমান থেকে আজকে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। যেখানে মজুদ আছে সেখানে কি কারণে দাম বাড়ানো হচ্ছে, পচা পেঁয়াজগুলো পর্যন্ত শুকানো হচ্ছে। কিন্তু কেনো? এখানে খাদ্য-বাণিজ্য ও কৃষিমন্ত্রণালয় সমন্বিত হয়ে কাজ করতে হবে।
সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে পরিবহন মালিক শ্রমিকদেট ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন: সড়ক পরিবহনের কারো যদি আইন নিয়ে কথা থাকে মালিক হোক, শ্রমিক হোক টেবিলে বসে সমস্যার সমাধান করুন। কিন্তু ধর্মঘট করে, মানুষকে জিম্মি করা আমরা সমর্থন করি না। মানুষকে জিম্মি করে কোন রাজনীতি আমরা অতীতে করি, নাই ভবিষ্যতেও করব না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য আরও বলেন: সড়কের ব্যাপারে আমরা সব সময় বলেছি যে, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। যে আইনটি করা হয়েছে আমরা মনে করি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। জনগণকে আমরা অনুরোধ করবো দেশবাসীকে আমরা অনুরোধ করবো কষ্ট হলেও আপনারা আইন বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগিতা করুন।
এ সময় আমাদের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের অনুরোধ করবো ধর্মঘট নিয়ে কথা বলতে চান একটু সতর্কভাবে বলুন।
প্রধানমন্ত্রীকে বিএনপির দেওয়া চিঠির সমালোচনা করে তিনি বলেন: হঠাৎ করে দেখলাম তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিল। পার্লামেন্ট চলেছে পার্লামেন্টে তারা এই বিষয় নিয়ে একটি শব্দও বলে নাই। চিঠি দিয়েছে চুক্তি নিয়ে। চুক্তিতে কোনটাই হয়নি। হয়েছে সমঝোতা স্মারক। এই কথা বলার অর্থটা কি? এখন তো কোন ইস্যু নাই। একটা নিউজ করা। নিউজ করা হচ্ছে বিএনপি’র একটা অভ্যাস।
এর আগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডাঃ শাহাদাত হোসেনসহ আরও অনেকে।