বন্দর উপজেলায় পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল
কান্তি ভক্তকে কানে ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় ক্ষমা চাইবেন না বলে সংবাদ
সম্মেলনে জানিয়েছেন সেলিম ওসমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ
প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি ওই ঘটনায় ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করে বলেন, সেদিনের ঘটনায় আমি অবাক হয়েছি। আমি যদি ওখানে না থাকতাম তাহলে প্রধান শিক্ষকে কুচিকুচি করে কেটে ফেলত। এলাকায় দাঙ্গা লেগে যেত। নারায়ণগঞ্জ উত্তপ্ত হত। কিন্তু যারা এটাকে ব্যাপকভাবে প্রচার করছেন, সমালোচনা করছেন আজ তাদের কাছেই আমি উত্তপ্ত হয়ে গেলাম।
‘সেদিনের ঘটনা পর আমার সেই সব বন্ধু, সতীর্থ ও সাংসদরা আমাকে ফোন করে জানতে পারতেন, আলোচনা করতে পারতেন, আমাকে শাসন করতে পারতেন। কিন্তু সেটা না করে তারা সেটাকে উত্তপ্ত করলেন। আমার নারায়ণগঞ্জ উত্তপ্ত হলো। সারাদেশ উত্তপ্ত হলো।’
সেলিম ওসমান আরো বলেন, সেদিন এখানে কী ঘটেছিল তা আমি কাউকে জানাইনি। কারণ, আমি চাইনি এটা আমার এলাকা ছাড়িয়ে অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ুক। কিন্তু যে কোনো ভাবেই হোক এটা ছড়িয়েছে। আমি তাতে শাস্তি দিয়েছি। তবে যা করেছি নারায়ণগঞ্জবাসীর ভালো জন্য করেছি। তাই সেই ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী নই।
তিনি বলেন, ‘যত দিন এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুলের নিষ্পত্তি না হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি যত দিন প্রতিবেদন দাখিল না করবে, তত দিন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স, বিকেএমইএ ও সংসদ সদস্য পদে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবো অামি।’
‘ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তির’ অভিযোগে গত ১৩ মে শ্যামল কান্তি
ভক্তকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিতে কান ধরে ওঠবস করান। এর আগে ওই
শিক্ষককে মারধোরও করা হয়।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ করেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এ ঘটনার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরইমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন সেলিম ওসমানের গ্রেফতার দাবি করেছে।