নাট্যাঙ্গনে বইছে নির্বাচনি হাওয়া! আর দু’দিন পরেই ছোট পর্দার নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচন। তা ঘিরে চলছে নির্বাচনি প্রার্থীদের শেষ সময়ের প্রচার প্রচারণা।
২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয়বারের মতো ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচন। তার আগে মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শিশু একাডেমি মিলনায়তনে প্রার্থী-পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ছোট পর্দার বহু তারকা মুখ।
প্রার্থী পরিচিত সভায় উপস্থিত থেকে আসন্ন নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ক্ষমতা কিংবা দায়িত্ব নেয়ার জন্য নয়, আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি নির্মাতাদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে। প্রত্যেক নির্মাতা নিজ নিজ দিক দিয়ে ক্ষমতাবান। আমি শুধুমাত্র দায়িত্ব নিতে চাই, সেটা ঠিকভাবে পালন করে নির্মাতাদের পাশে থাকতে চাই।
মাইক, গ্রাজুয়েট, দেনমোহর, বিবাহিত ব্যাচেলরের মতো জনপ্রিয় সব নাটকের নির্মাতা আরো বলেন, পরিচালক হলেন ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’। আমরা একসাথে আবার কাজ করে পরিচালকদের সেই সম্মান আবার ফিরিয়ে আনবো।
আরো বলেন, নির্বাচনে সব প্রার্থী ভোট চাচ্ছেন। এই করবো সেই করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু কেউ কনটেন্ট নিয়ে কিছু বলছেন না। ছোটবেলায় শুনতাম, আমাদের দেশের নাটক বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। কিন্তু এখন বিষয়টি পুরোপুরি উল্টো।
নির্মাতা রাজ বলেন, বাইরের দেশের ফিকশন অনেক উন্নত। কারণ তাদের আছে বাজেট। কিন্তু আমাদের আছে গল্প এবং মেধা। আমি বিশ্বাস করি, এদেশে বিদেশী সিরিয়াল যেমন ডাবিং করে চালানো হয়, আমরা যদি কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে পারি তবে বাইরের দেশে আমাদের সিরিয়াল ডাবিং করে চালানো হবে৷
তিনি বলেন, সবার আগ্রহ এখনও টেলিভিশনের দিকে। কিন্তু এছাড়াও এখন অনেক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আছে। সেদিক নিয়ে কাউকে ভাবতে দেখছি না। এছাড়া আইফ্লিক্সের মতো প্লাটফর্ম আছে। এসব মাধ্যমে কাজ করতে পারলে বাজেট সংকট থাকবে না।
সবশেষে মোস্তফা কামাল রাজ জানান, আমি যদি নির্বাচনে জয়ী হই, তবে আমাদের নির্মাতাদের সমস্যাগুলো সহজ ও সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এবারের ডিরেক্টরস গিল্ডের নির্বাচনে
সৈয়দ আওলাদ হোসেন সভাপতি পদে এবং সাধারণ সম্পাদক পদে এস এ হক অলিক লড়ছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সভাপতি পদপ্রার্থী সালাউদ্দিন লাভলু এবং সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পদে দাঁড়াচ্ছেন কামরুজ্জামান সাগর।
এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৫২ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৪৯০ জন। নির্বাচিত কমিটি হবে ২০ সদস্য বিশিষ্ট। এই নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আমজাদ হোসেন। তার সহকারী হিসেবে থাকবেন মামুনুর রশীদ, এস এম মহসীন।
প্রার্থী-পরিচিতি সভায় ৫২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫১ জনই উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার এস এম মহসীন জানান, ভোট প্রদানের সময় কেউ মোবাইল বা ক্যামেরা ব্যবহার করতে পারবেন না।
২০ জন প্রার্থী প্রত্যেককেই ভোট দিতে হবে। তা না হলে ওই ভোট বাতিল হবে৷ ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত।