একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষ্যে ডক্টর মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, সেসময় বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে যতোটুকু নিরাপত্তা দেয়া উচিত ছিলো তার কিছুই দেয়া হয়নি। বরং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় ওই হামলা হয়েছে।
একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার ২০৬তম সাক্ষী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডক্টর মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
সোমবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ এজলাসে সাক্ষ্য দেন তিনি। সময়ের অভাবে সাক্ষ্যের পুরোটা সম্পন্ন করতে পারেননি এ দিন।
প্রথম দিন তিনি কথা বলেন ওই সমাবেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং তৎকালীন সরকারের ভূমিকা নিয়ে।
বলেন, যখন পুরো সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়নি, এই পর্যায়ে আমি বলতে পারি যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড তার পেছনে দৃশ্যত তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের যে ইন্ধন ও সংশ্লিষ্টতা ছিলো সেটা প্রমাণ করে এই বাংলাদেশকে সকল মানুষের জন্য নিরাপদ ভূমিতে রূপান্তরিত করে যাবো।
সাক্ষ্য দেয়ার সময় মহীউদ্দীন খান আলমগীর এ বিষয়ে তার লেখা একটি বইয়ের সাহায্য নেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেছেন, তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রীকে যে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ছিলো তা দেওয়া হয়নি। তিনি গাড়িতে উঠে যাওয়ার পর যারা ওখানে পড়ে ছিলো তাদের উপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ১৮ ও ১৯ জানুয়ারী ঠিক করেছেন আদালত।