জাতিসংঘের আয়োজনে সোমবার প্যারিসে শুরু হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন ‘কপ-টুয়েন্টিওয়ান’৷এ উপলক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকিতে থাকা বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জনগণ নেমেছেন রাস্তায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হওয়া দেশের তালিকায় শীর্ষে আছে বাংলাদেশের নাম৷বৃহত্তম বদ্বীপটি এখন সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা, লবণাক্ত বৃদ্ধি, খরা, অতি বৃষ্টি,বন্যাসহ নানা পরিবেশগত ঝুঁকিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কায় আছে।
ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলন সামনে রেখে এক পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া ‘বৈশ্বিক জলবায়ু পদযাত্রা’ নামের এই কর্মসূচিতে যোগ দেন পরিবেশকর্মী, শিক্ষাবিদ,শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রকট পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের শঙ্কার কথা জানান দিতে প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের অমূল্য সম্পদগুলোর রেপ্লিকা, প্রতিবাদ ও দাবি সম্বলিত ব্যানার,ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে পদযাত্রায় অংশ নেন কয়েক’শ মানুষ।
১২ দিনের এই সম্মেলন শুরুর আগেই সোচ্চার পরিবেশবাদী থেকে সাধারণ মানুষ। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় উন্নত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তহবিল সরবরাহে বাধ্য করতে পদযাত্রা, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি নিয়ে সরব উপস্থিতি সর্বস্তরের সবার।
শুধু বাংলাদেশে নয় জাতি সংঘ জলবায়ু সম্মেলনে নিজেদের প্রাপ্য বুঝে নিয়ে নিরাপদ আবাসভূমির দাবিতে গণজমায়েত, বিক্ষোভ হয়েছে ফিলিপাইনস, জাপান, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায়।
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ এক পদযাত্রায় অংশ নিয়ে বৈরি আবহাওয়ার জন্য দায়ী কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানানো হয়।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘আমাদের অভিন্ন নিবাস বাঁচাও’ ও ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার’ লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে এক পদযাত্রায় আদিবাসী ও প্যাসিফিক দ্বীপবাসীসহ প্রায় পাঁচ হাজার লোক অংশ নেন।
নিউজিল্যান্ডের প্রধান নগরী অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটনে পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে কয়েক হাজার মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন পদযাত্রায় অংশ নেন।
টোকিওতে প্রায় তিনশ’ লোকের এক সমাবেশে পরিচ্ছন্ন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়।