ইপিএলের দুই ক্লাবে দুই ছবি। মৌসুম শেষেই ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে দিতে পারেন পেপ গার্দিওলা। এদিকে ইয়ুর্গেন ক্লপের সঙ্গে নতুন চুক্তি করেছে লিভারপুল। তাও ২০২৪ সাল পর্যন্ত। স্টিভেন জেরার্ডের সঙ্গে রেঞ্জার্সও ২০২৪ সাল পর্যন্ত চুক্তি বাড়িয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে জলঘোলা হচ্ছে সিটি কোচকে নিয়ে।
গার্দিওলাকে নিয়ে শুক্রবার দিনভর জল্পনা অব্যাহত ছিল। বলা হচ্ছিল, ২০১৮ সালে নতুন চুক্তির সময় মৌসুম শেষে ছেড়ে যাওয়ার রাস্তা খোলা রেখেছিলেন পেপ। চুক্তিতে এ রকম কথা লেখা ছিল। এমনিতে তার চুক্তি শেষ ২০২১ সালে। রাতের দিকে অবশ্য গার্দিওলা মন্তব্য করেছেন, ‘ছেড়ে যাওয়ার কোনো ধারা চুক্তিতে লেখা নেই। এটা একেবারেই গুজব।’
গার্দিওলার এই মন্তব্যে বিতর্কে ইতি হয়নি। বরং উল্টে বলা হচ্ছে, মৌসুমে সিটি ছেড়ে চলে যাবেন না, এমন কথা জোরের সঙ্গে উড়িয়েও দেননি তিনি। তিনি দিনকয়েক আগে সিটিতে থাকা নিয়ে বলেছিলেন, ‘হ্যাঁ, আমার চোখ খোলা রেখেছি। ক্লাব রাখবে কিনা, তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি ফুটবলারদের মন পড়ার চেষ্টা করি। ক্লাবকেও দেখার চেষ্টা করি। তারপরে নিজের সিদ্ধান্ত নিই।’
গার্দিওলার এসব মন্তব্যের পরে সিটি কর্মকর্তারা ভাবতে শুরু করেছেন। দিনকয়েক আগে সিটি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা গেছে টটেনহ্যামের বিদায়ী কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোর। সিটি কর্মকর্তারাও নিজেদের প্রস্তুত রাখার কাজে ব্যস্ত।
পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে, বার্সেলোনাতে চার বছর। বায়ার্ন মিউনিখে তিন বছর কাটিয়েছেন গার্দিওলা। তিন অথবা চার বছরের বেশি তিনি কোনো ক্লাবে কোচিং করাননি। সেই আশঙ্কা চেপে ধরছে সিটিকে।
এবার প্রিমিয়ার লিগ জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই সিটির। লিভারপুলের সঙ্গে ১৪ পয়েন্টের তফাৎ। সিটিকে তিনি দু’বার ইপিএল এনে দিয়েছেন। সাফল্য আরও রয়েছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এখনো অধরা।
অন্যদিকে, সাফল্যের সরণিতে রয়েছেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। ২০১৫ সালে তিনি লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন। চার বছর পার হওয়ার পর আরও পাঁচ বছর তিনি থাকলে ইপিএলে বিদেশি কোচের মধ্যে তিনি বেশিদিন থাকবেন এই ক্লাবে।
নতুন চুক্তিতে সই করার পর লিভারপুলের ওয়েবসাইটে তিনি বলেছেন, ‘লিভারপুলে দারুণভাবে কাটাচ্ছি। ক্লাব, ফুটবলারদের সঙ্গে দারুণ সময় কাটাচ্ছি। তাই এখনো পর্যন্ত এই ক্লাব ছাড়ার ইচ্ছে দেখাইনি। আমার মনে হয়, সামনের কয়েকটা বছরে লিভারপুলকে নতুনভাবে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’