লিভারপুলকে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী দলের চেহারায় ফিরিয়ে আনা কোচ ইয়ূর্গেন ক্লপ। তার কৌশলের কাছে হোসে মরিনহো থেকে পেপ গার্দিওলা, বিশ্বের নামী-দামী আর কৌশলী কোচদের পরাস্ত হতে হয়েছে একাধিকবার। কেউ কেই তো চাকরিটাই খুইয়ে বসেছেন ক্লপ-ধাক্কার পরপর।
এমন নয় শুধু ক্লপের লিভারপুলের কাছে হারার কারণে সেইসব কোচের চাকরি চলে গিয়েছিল। দলের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আগে থেকেই হুমকিতে ছিল তাদের আসন। কিন্তু শেষ পেরেকটি ঠোকা হয়ে যায় অলরেডদের কাছে পরাস্ত হওয়ার পরই।
এমন পাঁচজন কোচ আছেন, যাদের চাকরিহারা হতে হয়েছে লিভারপুলের কাছে হারার পরের ম্যাচের আগেই। যার মাঝে আছে স্পেশাল ওয়ান খ্যাত হোসে মরিনহো।
২০১৮ সালের কথা, লিভারপুলের কাছে ৩-১ গোলে হারার পর চাকরি হারিয়েছিলেন ম্যানইউর সেইসময়ের কোচ মরিনহো। ২০১৬ সালে একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল সোয়ানসি সিটির কোচ থাকাকালীন ফ্রান্সেসকো গুইডোলিনের, ২-১ ব্যবধানে হারার পর।
স্লাভেন বিলিচ, ২০১৭ সালে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডের কোচের পদ হারান লিভারপুলের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর। ২০১৮ সালে ফুলহ্যাম কোচ স্লাভিসা জোকানোভিচ ২-০তে হেরে একই পরিণতি দেখেন।
আছেন মার্কো সিলভা। এভারটনের কোচ থাকার সময়, ২০১৯ সালে লিভারপুলের মাঠে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে এসে চাকরি হারানোর নোটিশ পান তিনি।
চলতি মৌসুমে সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখনও অপরাজিত লিভারপুল। ১৩ ম্যাচের ১০ জয়, ৩ ড্র। প্রিমিয়ার লিগে ২০২১-২২ মৌসুমে ৯ ম্যাচ খেলা দলের মধ্যে অলরেডরাই একমাত্র, যারা একটি ম্যাচেও হারেনি। টেবিলের শীর্ষের চেলসির চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আছে ২১ পয়েন্টের লিভারপুল।
লিগে সবশেষ ম্যাচে তারা উড়িয়ে দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে, ৫-০ গোলে, প্রতিপক্ষের ঘরের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে। এরপর রেড ডেভিলদের কোচ ওলে গানার সোলশেয়ারের চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা বেড়ে গেছে!
সোলশেয়ারের গদি নিয়ে টানাটানি অবশ্য নতুন নয়, বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। জুভেন্টাস থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে পেয়ে চলতি মৌসুমে একেবারে মন্দ করছে না ম্যানইউ। কিন্তু পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা নেই। চড়াই-উতরাই চলছে বেশ।
কোচ ছাঁটাইয়ের বাতাস তাই মূহমূহ দমকা দিয়ে যাচ্ছে ট্রাফোর্ডের ড্রেসিংরুমে। ম্যানইউ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি, ইংলিশ গণমাধ্যমে খবর এমন।