বলা হচ্ছে ১৯৯৮ সালের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে ক্রোয়েশিয়ার ‘গোল্ডেন’ জেনারেশন। প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের সেভাবে প্রমাণও করেছে ক্রোয়েটরা। মদ্রিচ-রাকিটিচদের খেলা দেখে তাদের ‘ভয়ঙ্কর’ই মনে হচ্ছে ফ্রান্সের কাছে। সেজন্য দ্বিতীয় রাউন্ডে যেকোনও মূল্যে প্রতিপক্ষ হিসেবে ক্রোয়েটদের চেয়ে মেসিদেরই চাচ্ছে ফরাসিরা।
প্রথম দুই ম্যাচে নাইজেরিয়া ও আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। আপাত দৃষ্টি তারাই ‘ডি’গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে। কিন্তু নাইজেরিয়া যদি বড় ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয়, তবে দ্বিতীয় হতে পারে তারা। আর ফ্রান্স যদি তাদের গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে পরের রাউন্ডে প্রতিপক্ষ পাবে ক্রোয়েটদের।
অন্যদিকে, আইসল্যান্ড যদি ক্রোয়েশিয়াকে হারাত না পারে এবং আর্জেন্টাইনরা যদি নাইজেরিয়াকে হারিয়ে দেয়। তাহলে গ্রুপের দ্বিতীয় হিসেবে পরের রাউন্ডে যাবে মেসিরা। আর ‘বি’গ্রুপে ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়া প্রায় নিশ্চিত। ফলে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় হলে শেষ ষোলোতে তাদেরই পাবে ফ্রান্স। ঠিক এমনটাই চাচ্ছেন নীল জার্সিধারীরা।
ফ্রান্স স্ট্রাইকার পল পগবা বলেছেন, ‘গ্রুপ ‘ডি’তে সেরা দল ক্রোয়েশিয়া। তবে আর্জেন্টিনা গ্রেট হলেও আমরা তাদের হারাতে পারব।’
পগবার সঙ্গে একমত তার সতীর্থ কোরেন্টিন টোলিসো। তার বিশ্লেষণে ক্রোয়েশিয়া ‘বিপজ্জনক’ দল। বায়ার্ন মিউনিখ তারকা বলেন, ‘গ্রুপে ক্রোয়েশিয়াই সেরা। তবে আমরা নিজেদের গ্রুপে দ্বিতীয় না হওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
তবে টোলিসো এটাও স্বীকার করেছেন যে, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে খেলতে হলে মেসির প্রতি তাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে, ‘আর্জেন্টিনায় শক্তিশালী ব্যক্তিগত পারফর্মার আছেন-বিশেষত মেসি, যারা একটি ম্যাচে যেকোনও সময় যেকোনও কিছু করতে পারেন।’