আড়াই দিনও গড়াল না ট্রেন্টব্রিজ টেস্ট। ইনিংস এবং ৭৮ রানে লজ্জা মাথায় নিয়ে এবার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন অজি অধিনায়ক মাইবকেল ক্লার্ক।ওভাল টেস্টই হতে যাচ্ছে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট।
৩-১ এগিয়ে থাকা অ্যাশেজ যে ইংলিশরা ঘরেই রাখছে তা ইতিমধ্যে চূড়ান্ত। প্রথম ইনিংসে ব্রডের হাতে নাকানি চোবানির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ভেঙে পড়ল বেন স্টোকসের স্ট্রোকে।
২০১১ সালের বাংলাদেশ সফরে রিকি পন্টিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হওয়া ক্লার্কের নেতৃত্বে ৪৬ টেস্টের ২৩টিতে জয় পেয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। ৭৪ ওয়ানডের ৫০টি জিতেছে, হার ২১টিতে। চতুর্থ অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন বিশ্বকাপও।
অবসরের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “আমার হাতে আর একটা টেস্ট আছে। এরপরই আমি ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছি। আমি ওভালেই ক্যারিয়ার শেষ করতে যাচ্ছি। এরপর আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাকে দেখা যাবে না।”
অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার লজ্জাজনক পারফরম্যান্স নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় চলছেই। কেউ বলছেন বাদ দেওয়া উচিত দলের গোটা আটেক ক্রিকেটারকে, কেউ বলছেন বাদ দেওয়া উচিত খোদ অধিনায়ককেই।
আর এ সব বিতর্ক স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, গত গ্রীষ্মে ইংল্যান্ড থেকে হেরে ফেরার পর বিসিসিআই এর সিদ্ধান্তের কথা। ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাইরের সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁদের স্ত্রী-বান্ধবীরা থাকতে পারবেন না।
তাইতো চলতি শ্রীলঙ্কা সফরে অনুষ্কাদের কাছে পাচ্ছেননা কোহলিরা। ইয়ান হিলি তো দাবি তুলেছেন অজিদেরও একই দাওয়াই দেওয়া হোক। ব্যাটিং থেকে বোলিং সব ক্ষেত্রেই দশ গোল খাওয়া অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের মনঃসংযোগ নষ্টের জন্য সরাসরি তাঁদের স্ত্রী এবং বান্ধবীদের দিকে আঙুল তুলেছেন প্রাক্তন এ উইকেটরক্ষক।