ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের সঙ্গে আগে থেকেই জড়িয়ে ছিলেন রিচার্ড পাইবাস। প্রয়োজনের মুহূর্তে তাই আর নতুন করে কোচ খোঁজার ঝামেলায় যেতে হয়নি উইন্ডিজ বোর্ডকে। হাই-পারফরম্যান্স দলের নামকরা কোচ পাইবাসকে পূর্ণ মেয়াদে নিয়োগ দিয়েছে তারা।
ভারত সিরিজের পর স্টুয়ার্ট ল পদত্যাগ করায় নিক পোথাসকে আপদকালীন কোচ বানিয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল উইন্ডিজ। টাইগারদের বিপক্ষে টেস্ট আর ওয়ানডে সিরিজে ভরাডুবির পর নতুন কোচের সন্ধানে নেমে পড়ে উইন্ডিজ বোর্ড।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিবীয়দের হাই-পারফরম্যান্স দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন পাইবাস। বোর্ড থেকে মূল দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পাওয়ার পর আর না করেননি এ ইংলিশ কোচ। এর আগেও ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পরিচালকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
দ্বিতীয় দফায় লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পাচ্ছেন না পাইবাস। চলতি বছরে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ পর্যন্ত কোচ থাকবেন তিনি। এর মাঝের সময়ে তার অধীনেই ইংল্যান্ডে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে ক্যারিবীয়রা।
বাংলাদেশকে মাত্র পাঁচ মাসের জন্য কোচিং করানো এই কোচের নিয়োগের খবরে খুশি হতে পারেননি অনেকেই। পাইবাসের উইন্ডিজ বোর্ডের ডিরেক্টর থাকার সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন ড্যারেন স্যামি। পাইবাসের নিয়োগের খবরকে দুঃস্বপ্ন ভেবে সাবেক এই অধিনায়ক টুইটারে লিখেছেন, ‘মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা…নিশ্চয় এটা ভুয়া খবর।’ পরে আরেক টুইটে স্যামি লিখেছেন, ‘আমি আশা করি এই দুঃস্বপ্নটা মিথ্যা। তার কোচ হওয়াটা নিশ্চয় ভুয়া খবর।’
পাইবাসের উইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক থাকার পুরোটা ছিল বিতর্কে ভরা। প্রত্যেক ক্যারিবীয় ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে তবেই জাতীয় দলে আসতে হবে; এমন বিতর্কিত প্রথা চালুর পেছনে পাইবাসের অবদান ছিল বেশি। তার আমলেই জাতীয় দলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় ডোয়াইন ব্রাভো, কাইরেন পোলার্ডদের মতো মারকাটারি প্রকৃতির ক্যারিবীয় ক্রিকেটারদের।