প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোর পর কনফেডারেশনস কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক রাশিয়ার বিপক্ষে অন্য পর্তুগালকে দেখা গেল। আগের ম্যাচের কৌশল এদিন আর চোখে পড়ল না। রোনালদো ঠিকঠাক ব্যবহৃত হলেন। গোলও পেলেন। তার একমাত্র গোলেই জয় পেয়েছে দলটি।
আগের ম্যাচে পেপেরা ৪-৩-৩ ফর্মেশনে খেলেছিলেন। রোনালদোকে মাঝে রেখে ডান পাশে ন্যানি। বাঁ-দিকে ছিলেন কুয়ারেসমা। এদিন ৪-৪-২ ফর্মেশনে চলে যান কোচ সান্তোস। এই ফর্মেশনেই দলটি শুরুতে সাফল্য পায়। ডানদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন।
ম্যাচের মাত্র আট মিনিটের মাথায় পরিকল্পিত এক কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যায় আগের ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করা পর্তুগাল। রোনালদো নিজেদের অর্ধ থেকে বল রিসিভ করে ডান উইং ধরে প্রতিপক্ষের সীমানায় ঢুকে পড়েন। বক্সের খানিকটা বাইরে থেকে উইলিয়ামকে পাস দেন। উইলিয়াম চোখের পলকে দিক পরিবর্তন করে বাঁ উইংয়ে গুয়েরিওর কাছে পাঠিয়ে দেন। গুয়েরিও দারুণ দক্ষতায় বাঁকানো শটে রোনালদোকে চোখে রেখে ডিবক্সের আকাশে বল তুলে দেন। রাশিয়ার ডিফেন্ডার কুদ্রিয়াসোভ তখন চরম ভুলটা করে বসেন। রোনালদোর সামনে থেকে তিনি গার্ড দেন। পর্তুগীজ তারকা পেছনে দাঁড়িয়ে বলের ওপর চোখ রেখে হেড দেন। ব্যাক পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ায়।
দাপুটে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে রাশিয়া। ওশেনিয়া চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে স্বাগতিকরা। সেমিফাইনাল নিশ্চিতের ম্যাচে প্রথমার্ধে রোনালদোকে সামলাতেই সময় গেছে তাদের। রাশিয়ার পরের ম্যাচ মেক্সিকোর বিপক্ষে, ২৪ জুন। সেমিতে যেতে হলে এই ম্যাচে জিততে হবে তাদের। একই দিন রাতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল।
প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিক রাশিয়া বেশি ভালো খেলেছে। ডিফেন্স থেকে শক্তি কমিয়ে মাঝমাঠে নজর দেন দলটির কোচ স্লামোভিচ। রোমান সিসকিনকে উঠিয়ে মিডফিল্ডার ইরোখিনকে নামিয়ে দেন তিনি। ইরোখিন নেমে বলের জোগান বাড়ানোর চেষ্টা করেন।
পর্তুগালের কোচও কম যান না। রাশিয়ার আক্রমণের জবাবে তিনিও আক্রমণাত্মক কৌশল নতুন করে সাজান। কাউন্টার অ্যাটাকে শক্তি বাড়াতে ৭৮ মিনিট নাগাদ আন্দ্রে সিলভাকে উঠিয়ে গেলসন মার্টিনসকে নামিয়ে দেন। চার মিনিট বাদে মাঝমাঠেও সতেজতা আনেন পর্তুগীজ কোচ। আদ্রেইন সিলভাকে উঠিয়ে দানিলোকে স্মরণ করেন। এই পরিবর্তনগুলো করার পর নতুন করে ম্যাচে ফিরতে শুরু করে পর্তুগাল।
ম্যাচের শেষ দিকে পর্তুগাল আবার কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া বারবার কাউন্টারে অ্যাটাকে আসে। একদম শেষ দিকে প্যাট্রিসিওর দারুণ একটি হেড অল্পের জন্য বারের উপর দিয়ে যায়। অল্পের জন্য তাদের ম্যাচও বেরিয়ে যায়!