গত জানুয়ারিতে বার্সেলোনা থেকে ধারে অ্যাস্টন ভিলায় খেলতে গিয়েছিলেন ফিলিপে কৌতিনহো। মাত্র ১৭ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে ব্রাজিলিয়ান অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে এবার ভিলার কাছে বিক্রিই করে দিলো বার্সা।
২০১৮ সালে স্প্যানিশ জায়ান্টরা ১৪২ মিলিয়ন পাউন্ডে কৌতিনহোকে ন্যু ক্যাম্পে টেনেছিল। সেই হিসেবে ১২৫ মিলিয়ন পাউন্ড লোকসান গুণে তাকে বিক্রি করতে হল। অর্থাভাবে নাজুক অবস্থায় থাকা কাতালান ক্লাবটির জন্য এটি বড় আর্থিক ধাক্কাই।
বার্সা কৌতিনহোকে ভেবেছিল ‘সোনার ডিম দেয়া হাঁস’! বাস্তবে সেটির প্রতিফলন হয়নি। ২০১৯ সালে ধারে পাঠিয়ে দিতে হয় বায়ার্ন মিউনিখে। সেখান থেকে বছরের শুরুতে ধারে অ্যাস্টন ভিলায়। বার্সেলোনায় থেকেও ধারে খেলতে থাকা তারকা শেষপর্যন্ত অ্যাস্টনকেই ঠিকানা বানালেন। শেষ হল বার্সায় তার চার বছরের দুঃস্বপ্নের অধ্যায়।
২০২৬ সাল পর্যন্ত অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে চুক্তি করেছেন ২৯ বর্ষী কৌতিনহো। প্রতি সপ্তাহে আয় করবেন ১ লাখ ২৫ হাজার পাউন্ড।
নতুন ক্লাবে যোগ দিয়ে কৌতিনহো বলেছেন, ‘বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে সত্যিই আনন্দিত। প্রথমদিনই আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ভীষণ উপভোগ করেছি। বিশ্বাস করি এই স্কোয়াড নিয়ে আমরা দারুণকিছু অর্জন করতে পারব। পরের মৌসুম নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’
২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত লিভারপুলে খেলেছিলেন কৌতিনহো। ওই সময় সতীর্থ হিসেবে স্টিভেন জেরার্ডকে পেয়েছিলেন। এবার কোচ জেরার্ডের অধীনে অ্যাস্টনের স্থায়ী ফুটবলার হিসেবে খেলবেন।
সাবেক সতীর্থকে এবার শিষ্য পেয়ে জেরার্ড বলেছেন, ‘অ্যাস্টন ভিলার জন্য এটা দারুণ এক চুক্তি। পেশাদার হিসেবে কৌতিনহো একজন মডেল। জানুয়ারিতে যোগদানের পর দলে তার প্রভাব বেশ স্পষ্ট। নিজেকে যেভাবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে পরিচালিত করে, তা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত। আমাদের তরুণ খেলোয়াড়রা তার অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হতে পারে।’