কয়েকমাস আগেও যা অসম্ভব মনে হচ্ছিল, সেটাই এখন বাস্তব। ছয়মাসের টানা জোর-জবরদস্তির পর অবশেষে ফিলিপে কৌতিনহোকে বার্সেলোনায় বেঁচতে সম্মত হয়েছে লিভারপুল। ইংলিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে টানার বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলতে পারে বার্সা।
বার্সা যত জোরের সঙ্গে বলছিল তারা কৌতিনহোকে চায়, গত কয়েকমাস লিভারপুলের ততটাই চেষ্টা ছিল নিজেদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের দলবদল আটকাতে। অল রেডরা বারবার একই রেকর্ড বাজিয়েছে, ‘কৌতিনহো বিক্রয়ের জন্য নহে!’
ক্লাব চাইলেই তো হবে না, যার জন্য এত তোড়জোড় সেই কৌতিনহোই হৃদয় দিয়ে বসে আছেন বার্সেলোনাকে। তাই বছরে ১০.৫ মিলিয়ন ইউরো বেতনের মুলো ঝুলিয়ে অলরেডদের ব্রাজিলিয়ান ভরসাকে ভেতরে ভেতরে রাজী করাতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্প্যানিশ পরাশক্তিদের।
লিভারপুলে মোহাম্মদ সালাহ, আরেক ব্রাজিলিয়ান ফিরমিনো, সাদিও মানেদের মত মান সম্পন্ন খেলোয়াড় আছে। কৌতিনহোর ব্যাপারে তাই হয়ত আর অনড় থাকা যুক্তিযুক্ত মনে করেছেন না কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। কৌতিনহোবিহীন ম্যাচের পরীক্ষা-নিরীক্ষাটাও সেরে ফেলেছেন তিনি। ব্রাজিল তারকা খেলেননি এমন দশ ম্যাচের কেবল একটিতে হার দেখেছে লিভারপুল। তার উপর চলতি শীতকালীন দলবদলে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ডিফেন্ডার হয়ে দলে ভিড়েছেন ভার্জিল ফন ডিক। এত টাকা খরচ করার পর ব্যাংকে নগদ কিছু অর্থ রাখাটাও তো জরুরি! কৌতিনহোকে বেঁচে সেটাই জমা করছে লিভারপুল।
তা, কত দামে স্পেনে যাচ্ছেন কৌতিনহো? সেটা এখনও স্পষ্ট না হলেও ইংলিশ সংবাদ মাধ্যমগুলোর দাবি, বার্সাকে নগদ ১২০ মিলিয়ন ইউরো তুলে দিতে হবে লিভারপুলের হাতে। বাকী অন্যান্য শর্ত, দাবী-দাওয়া পূরণ করতে ঢালতে হবে আরও বাড়তি ৩০ মিলিয়ন ইউরো। মোট ১৫০ মিলিয়ন ইউরো খসাতে হবে কাতালান ক্লাবটিকে। গত আগস্টে বরুশিয়া ডর্টমূন্ড থেকে প্রায় একই দামে উসমানে ডেম্বেলেকে ন্যু ক্যাম্পে এনেছে কাতালানরা।
এখন প্রশ্ন, ঠিক কবে ন্যু ক্যাম্পে পা ফেলবেন কৌতিনহো? ব্রাজিলিয়ান তারকার ইচ্ছা আগামী সপ্তাহেই মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে অনুশীলনে নামার। তবে, ক্লপ চান মৌসুমটা শেষ করেই যেন অ্যানফিল্ড ছাড়েন কৌতিনহো। অলরেডরা যেন ২০১৮-১৯ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে পারে সেটাই কেবল কৌতিনহোর কাছে জার্মান কোচের একমাত্র চাওয়া। তবে কৌতিনহো বা বার্সা, কেউই আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়!