টি-টুয়েন্টিতে ১৫১ মাঝারি সংগ্রহ। কিন্তু দলটা যখন ভারত, বোলিংয়ে যখন বুমরাহ-সামিরা, তখন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাই আশায় থাকার কথা। মাঠে ঘটল উল্টোটা। একটি উইকেটও তুলতে পারল না ভারত। ১০ উইকেটে জিতে সুপার টুয়েলভে যাত্রা করল পাকিস্তান।
দুবাইয়ে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান জমাতে পেরেছিল ভারত। সেটি টপকানোর পথে ১৩ বল আর সবকটি উইকেট অক্ষত রেখে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান।
রোববার গোল্ডেন ডাক পাওয়া রোহিত ও ৩ রান করা রাহুলকে ফিরিয়ে শুরুতেই আবহটা গড়ে দিয়েছিলেন শাহিদ আফ্রিদি। শেষে ফেরান কোহলিকেও। ৪ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট।
ম্যাচসেরা শাহিনের শুরুর সেই ধাক্কা সামলে নিতে এগিয়ে আসেন কোহলি। সূর্যকুমারকে (১১) হারান দ্রুতই। পরে অনেকক্ষণ সঙ্গ দেন রিশভ পান্ট। দুজনে জুটিতে ৫৩ রান যোগ করেন।
পান্ট ২টি করে চার-ছয়ে ৩০ বলে ৩৯ করে ফেরার পরও কোহলি ছিলেন। তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৪৯ বলে ৫৭ রানে থামার সময় পাশে ৫ চার ও এক ছয়ের মার।
শেষদিকে জাদেজা ১৩, হার্দিক ১১ রান করলেও প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি। প্রথমবারের মতো দশ উইকেটের হার দেখতে হয়েছে শেষঅবধি।
হাসান আলি ২টি উইকেট নিয়েছেন। হারিস রউফ একটি। শাদাব খান ১টি নিয়েছেন ৪ ওভারে মাত্র ২২ রান খরচায়।
যেকোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতকে হারাতে পারে না পাকিস্তান। সেই ক্ষত মুছে ফেলার দিনে ব্যাটে এগিয়ে আসেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। অবিচ্ছিন্ন ১৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি, সেটিও মাত্র ১০৭ বলে।
যেভাবে চেয়েছেন, ঠিক সেভাবেই বল গড়িয়ে-উড়িয়ে মেরেছেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটার। এদিন যেন আক্ষরিক অর্থেই ব্যাট তলোয়ার হয়ে উঠেছিল তাদের! শেষ পর্যন্ত রিজওয়ান অপরাজিত থেকে যান ৭৯ রানে, ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ বলের ইনিংস।
অধিনায়ক বাবর অপরাজিত থেকে যান ৬৮ রানে, ৫২ বলে সাজানো ইনিংসে ৬ চার ও ২ ছক্কার মার।