ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দশম ম্যাচে অষ্টম জয় এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাদের বিপক্ষে ৫ রানে হেরে আইপিএলের এবারের আসর এক প্রকার শেষ হয়ে গেছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুর। প্লেঅফ খেলতে হলে পরের ম্যাচগুলো জেতার পাশাপাশি অন্যদের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
সাকিব এদিন ব্যাট হাতে ৩৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলার পর বল হাতেও সফল। ইনিংসের প্রথম উইকেট নেয়ার পাশাপাশি বড় হুমকি কোহলিকে (৩৯) বিদায় করেন। শেষ পর্যন্ত চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ৩৬ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন।
সাকিব উইকেটের দেখা পান তৃতীয় ওভারে। সুইপ করতে যাওয়া পার্থিব প্যাটেলকে এলবিডব্লিউ বানান। ১৩ বলে ২০ করতে পারেন এই ওপেনার।
এরপর মনন ভোরা আর বিরাট কোহলি ৩৬ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে রাখার চেষ্টা করেন। ১০ বলে ৮ রান করা ভোরাকে বোল্ড করেন সন্দীপ শর্মা। পাঁচ চার, এক ছয়ে ৩৯ রান তুলে ফেলা কোহলি সাজঘরে ফেরেন দশম ওভারের শেষ বলে। শর্ট-থার্ডম্যানে ইউসুফ পাঠানের এক হাতের ক্যাচে আটকে যান।
জয়ের জন্য কোহলিদের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২ রান। গ্র্যান্ডহোম এবং মনদ্বীপ সিংকে ভুবনেশ্বর কুমার সেটি নিতে দেননি।
এর আগে ৪৮ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৪৬ রানের সংগ্রহ এনে দিতে কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে কৌশলী ব্যাটিং করেন সাকিব আল হাসান। দুজনে ৬৪ রানের জুটি গড়েন।
সাকিব এদিন তিন উইকেট পড়লে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। নবম ওভারে তিনি উইলিয়ামসনের সঙ্গী হন। কৌশলী ব্যাটিংয়ে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসনকে বেশি বেশি স্ট্রাইক দিতে থাকেন।
৩৫ বলে ৫০ রান তুলে নেয়া উইলিয়ামসন রান বাড়াতে থাকেন, আর সাকিব কখনো সিঙ্গেল, কখনো বাউন্ডারি মেরে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করতে থাকেন।
১৬তম ওভারে দলকে ১১২ রানে রেখে বিদায় নেন উইলিয়ামসন। ৩৯ বলে পাঁচটি চার, দুটি ছয়ে ৫৬ রান করেন তিনি। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে বিদায় নেন সাকিব। যাদবের বলে সাউদির হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৩২ বলে তার সংগ্রহ ছিল ৩৫। ছয় না থাকলেও চারের মার ছিল পাঁচটি।
সাকিব, উইলিয়ামসন ছাড়া আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। ওপেনার শেখর ধাওয়ান করেন ১৯ বলে ১৩। শেষদিকে ইউসুফ পাঠান ৭ বলে ১২ করেন।
এই জয়ে হায়দরাবাদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত হল। ১০ ম্যাচ শেষে তাদের এখন ১৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় চেন্নাই সুপার কিংস।