আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কেনার জন্য দেয়া ঋণের জামানত গ্রহণে নমনীয় হতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি তফসিলি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ৫ জুলাই জারি করা প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত ‘চামড়া ব্যবসায়ী’ বলতে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ সংশ্লিষ্ট ট্যানারি শিল্পসহ চামড়া খাতের সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকে বোঝাবে।
আসন্ন কোরবানিতে চামড়া শিল্পের ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠান যাতে কাঁচা চামড়া ক্রয় করতে সক্ষম হয়, সে লক্ষ্যে ব্যাংকগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সহায়ক জামানত গ্রহণের বিষয়টি নমনীয়ভাবে দেখার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক জারি করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ৫ জুলাই কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ে ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃতফসিলের বিশেষ সুবিধার কথা বলা হয়েছে। মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ২ শতাংশের বেশি হলেও এর কমে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে না। তবে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে নতুন করে ঋণ আবেদন করতে পারবেন গ্রাহক।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ৩০ জুন ভিত্তিক ঋণ/বিনিয়োগ স্থিতির ন্যূনতম ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নগদে আদায় সাপেক্ষে পুনঃতফসিলের বিষয়ে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে ইতিপূর্বে সংশ্লিষ্ট ঋণ হিসাবে আদায়কৃত কিস্তি ডাউন পেমেন্ট হিসেবে গণ্য হবে না।
এছাড়া ঋণ গ্রহীতাদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে ঋণ হিসাব শ্রেণিকৃত হয়ে থাকলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল থাকলে এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় পুনঃতফসিল সুবিধা দেয়া যাবে।
কেইস-টু-কেইস ভিত্তিতে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ তলবী ও চলমান ঋণ সর্বোচ্চ ৬ বছর মেয়াদে এবং মেয়াদী ঋণ সর্বোচ্চ ৮ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে।
কোরবানিকৃত পশুর কাঁচা চামড়া ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নতুন ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজড এমাউন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল করা যাবে।
আগামী ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে স্ব-স্ব ব্যাংকের নিকট এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় ঋণ গ্রহীতাগণকে তাদের ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।