চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

কোভ্যাক্স থেকে ১০ লাখ ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ কোভ্যাক্সের আওতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার (এজেড) ১০ লাখ ৮০০ ডোজ ভ্যাকসিন পাবে।

এই ডোজগুলো কোভ্যাক্স সরবরাহ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কোভ্যাক্স এখনও বাংলাদেশে এই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন সরবরাহের উৎস দেশ সম্পর্কে উল্লেখ করেনি।

কোভ্যাক্স একটি বিশ্বব্যাপী উদ্যোগ যা গ্যাভি, ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, মহামারী প্রস্তুতি উদ্ভাবন সংক্রান্ত জোট এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভিড-১৯ টিকার ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

কোভ্যাক্সের এই বরাদ্দ বাংলাদেশের জন্য সুখবর হিসেবে এসেছে। কারণ ঢাকা ১৫ লক্ষ মানুষকে একই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৬০ থেকে ৮০ মিলিয়ন ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন মজুত আছে জেনে অবিলম্বে ওয়াশিংটন ডিসিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ২ মিলিয়ন ডোজ পাঠানোর আহ্বান জানায় ঢাকা।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এরপর ওয়াশিংটন ডিসিকে এ বিষয়টি অবহিত করে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশী প্রবাসী সম্প্রদায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ডোজ চেয়ে হোয়াইট হাউসে একটি পিটিশন দাখিল করে।

এছাড়া, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পর্যাপ্ত টিকা আনার জন্য বাংলাদেশ এবং চীন ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা চলছে।

মোমেন বলেন, সরকার এখানে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন যৌথ উদ্যোগে উৎপাদনের বিষয়ে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবে বলে আশাবাদী।

এর আগে বেশ কয়েকবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ দেড় কোটি ডোজ চীনা ভ্যাকসিন কিনতে চায় এবং রাশিয়া থেকে ৫০ লাখ ডোজ স্পুটনিক কোভিড ভ্যাকসিন আমদানি করতে চায়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

এছাড়া ১৩ জুন বেইজিং কর্তৃক উপহার দেওয়া ৬ লাখ ডোজ চীনা ভ্যাকসিন আনতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি বিমান পাঠাতে যাচ্ছে ঢাকা।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের অনুরোধে গত ২২ মে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ে ঘোষণা করেন চীন দ্বিতীয় ব্যাচের উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে আরও ছয় লাখ ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত ১২ মে চীনের সিনোফার্ম কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পাঁচ লাখ ডোজের প্রথম ব্যাচ উপহার হিসেবে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যদিকে ঢাকা পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী তার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।