করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যাতে আর না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্য যথাযথ উদ্যোগসহ সরকারের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ দিয়েছে দেশের ৬৭ জন নাগরিক।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদুল হকের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক, ডাক্তার, রাজনৈতিক কর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিল্পী, নারী অধিকার কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার ৬৭ জন নাগরিকরা সই করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে আবারও করোনা ভয়াবহ আকার নিতে যাচ্ছে। যতো মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন সেই অনুযায়ী টেস্ট করার ব্যবস্থা নাই বলে টেস্ট করার স্থানে ভিড় বাড়ছে, অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালগুলোতে সিট নাই, আইসিইউ-এর অভাব প্রচণ্ড, অক্সিজেন সরবরাহ সীমিত, ডাক্তার নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও চাপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এই ঊর্ধ্বগতির সংক্রমণ ঠেকানোর প্রধান উপায় হলো সংক্রমণ যাতে আর না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য সকল দিক থেকে উদ্যোগ গ্রহণ।
এর জন্য সকল নাগরিককে যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে তেমনি সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আমরা মনে করি, করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ উর্ধ্বগতি ঠেকানোর জন্য সরকারের করণীয় হলো:
(১) কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য সকল প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা
(২) সকল ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সভা সমাবেশ, বিবাহ ইত্যাদি দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা
(৩) কক্সবাজার সেন্ট মার্টিনসহ সকল পর্যটন এলাকা দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা।
(৪) হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা ও আইসিইউ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের জন্য ত্বড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ।
(৫) বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিন কার্যকর করা।
(৬) শ্রমজীবী মানুষদের জন্য দুই সপ্তাহের খাদ্য নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার পরিস্থিতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে এসব ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সকল পর্যায়ের নাগরিকেরা যথাযথ মনোযোগী হলে আমরা নিশ্চয়ই এই ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবো।