এখন থেকে সিম কেনার জন্য ক্রেতাকে আর কোন কাগজের ফরম পূরণ করতে হবে না। বিক্রেতার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, নিজের ছবি দিতে হবে না। সিম কেনার সময় ক্রেতার সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রটি রাখলেই হবে। বিক্রেতাকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, আঙুলের ছাপ, জন্ম তারিখ ও বর্তমান ঠিকানা দিয়ে সিম কেনা যাবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে গ্রামীণফোনসহ দেশের অন্যান্য মোবাইলফোন অপারেটররা।
আজ মঙ্গলবার গুলশানের জিপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই ব্যবস্থাটি গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরে গ্রামীণফোন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এটি কাগজবিহীন সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া যেখানে গ্রাহকদের নতুন সিম কেনার জন্য ছবি কিংবা কোনো আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স) দিতে হবে না। গ্রাহক সিম বিক্রেতাকে শুধুমাত্র তার নাম, আইডি নম্বর, জন্মতারিখ, বর্তমান ঠিকানা ও আঙুলের ছাপ দেয়ার মাধ্যমেই নতুন সিম কিনতে পারবেন। এছাড়াও, গ্রাহককে গ্রাহক আবেদন পত্রও (এসএএফ) পূরণ করতে হবে না।
ডিজিটাল নিবন্ধন বিষয়ে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন: এই উদ্যোগ একটি নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের জীবনকে সহজ করার পাশাপাশি, টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমের ডিজিটালকরণকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা আরো জোরদার হবে। দীর্ঘমেয়াদে এটা পরিবেশ সংরক্ষণেও ইতিবাচক অবদান রাখবে।
গ্রামীণফোন আরও জানায়, প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুধুমাত্র নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াই গ্রাহক সম্পন্ন করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। নতুন সংযোগের দাম কিংবা প্রাসঙ্গিক সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে। কোন বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন জন্ম তারিখ বা আঙ্গুলের ছাপ, এনআইডি-স্মার্ট কার্ডের সাথে না মিললে সিম সক্রিয় হবে না এবং নিবন্ধিতও হবে না।