কোন পথে হাঁটছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল)?
বিশ্লেষকরা বলছেন, এখনই এ বিষয়ে বলা যাবে না। তবে ব্যাংকে পরিবারতন্ত্র বাড়ছে। সেক্ষেত্রে কিছু উদ্বেগের বিষয় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকিং খাতকে যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
সোমবার হঠাৎ করে এসআইবিলের ব্যবস্থাপনায় ও পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নতুন পরিচালনা পর্ষদ কী সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে, সেটির অপেক্ষায় আছেন সবাই।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এসআইবিলের শেয়ারে ছোট বিনিয়োগকারীরাও সেদিকে তাকিয়ে আছেন। শিহাব নামের এক বিনিয়োগকারী বলেন, মালিকানা পরিবর্তনের কারণে কী হয় সেটা বুঝার চেষ্টা করছি।
সোমবার এসআইবিএলের চেয়ারম্যান মেজর (অব.) ড. রেজাউল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শহিদ হোসেন ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুল হককে ব্যাংকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
নতুন করে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আনোয়ারুল আজিম আরিফ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত এমডি কাজী ওসমান আলী ও কার্যনির্বাহী কমিটির (ইসি) চেয়ারম্যান পদে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান বেলাল আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আইন অনুযায়ী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনলে তা দোষণীয় নয়। তবে ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম ঠিক রেখে মুনাফা বাড়াতে অবশ্যই দরকার দক্ষ ব্যবস্থানা। নতুন পরিচালনা পর্ষদ কতটা দক্ষতার সাথে ব্যাংক পরিচালনা করবে সেটাই দেখার বিষয়।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা খুবই যোগ্য মন্তব্য করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডররা যদি পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনে সেক্ষেত্রে কারো কিছু করার নাই। তবে ব্যাংকে পরিবারতন্ত্র থাকা অবশ্যই সমীচীন নয়।
ব্যাংকে পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ বাড়ছে উল্লেখ করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, এখনই কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ বেড়ে যাওয়ার ফলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সুশাসন ব্যাহত হতে পারে। ফলে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে।
এছাড়া ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ বিশ্লেষণ না করেই সম্পর্কের ভিত্তিতে অনিয়মতান্ত্রিক ঋণ দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি। ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে নমনীয়তা দেখানো হলে বকেয়া ঋণের পরিমাণ বেড়ে যায় বলেও তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন।