সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ভুল চিকিৎসার কারণের মৃত্যুবরণ করলে গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় চিকিৎসক-শিক্ষার্থীদের দ্বন্দ্ব। অভিযুক্ত ডাক্তারের পক্ষ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেক চিকিৎসক বিভিন্ন ধরণের প্রচারণা চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ ব্যঙ্গাত্মক গল্পে চিকিৎসকদের নিয়ে লিখেছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক মঈনুল আহসান সাবের।
গল্পটি এরকম,
বীরবলের কিনে দেওয়া মোবাইল সেট নেড়েচেড়ে দেখতে দেখতে আকবর বিরক্ত গলায় বললেন, এ কী সেট আর সিম কিনলে বীরবল! ইন্টারনেট ঠিকমতো কাজ করে না। রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই পারছি না। বীরবল বললেন, আমি খবর রাখছি, সম্রাট। সবকিছু ঠিকঠাক আছে।
: নিশ্চিন্ত হলাম। …শোনো, সেদিন তুমি ডাক্তারদের ওপর ডাক্তারি করা সাংবাদিকদের নিয়ে বলছিলে না? আজ এক রেস্তোরাঁয় পুরি খেতে খেতে পুরনো কিছু পত্রিকা উল্টেপাল্টে আর মোবাইলে অনলাইন পত্রিকায় নিউজের ধরন দেখে মনে হলো ঠিকই বলেছ।
: আমি ঠিকই বলেছি, সম্রাট।
: আজ আবার ফেইসবুক দেখে মনে হলো, প্রবীণ নবীন হবু, সব ডাক্তারই তাদের আবদুল্লাহ সাহেবকে খুবই শ্রদ্ধা করে। তারা তাদের প্রোপিক বদলে ফেলেছে, আবদুল্লাহ সাহেব ৩০০ টাকায় রোগী দেখেন, রেফারেন্স ছাড়া দেখেন, যে হাসপাতালে বসেন সেখানে নিজ রুমে বিনা পয়সায় দেখেন, এসব উঁচু গলায় বলাবলি করছে। খুব ভালো লাগল।
: ভালো লাগাই স্বাভাবিক, সম্রাট। সবাই আবদুল্লাহ সাহেবের আদর্শ নিয়ে কথা বলছেন। তবে একটা ফাঁক বোধহয় আপনার চোখে পড়েনি।
: তাই! …কী সেটা?
: তাদের কাছে যে মানুষটি এত আদর্শবান, কেউ কিন্তু সেই মানুষটির মতো হওয়ার কথা বলছেন না। কেউ বলছেন না, কখনো তার মতো বড় ডাক্তার হতে পারলে তিনিও ৩০০ টাকায় রোগী দেখবেন।